বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে চলমান নাইকো দুর্নীতির মামলায় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলমের এ রায়ের দিন ঠিক করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘এ মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এরপর আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক শুনানির পর রায়ের দিন ঠিক হলো। আশা করি ম্যাডাম খালাস পাবেন।’
মামলার অপর আসামিরা হলেন তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। চার্জশিটে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।