সোমবার, ০৭:০২ অপরাহ্ন, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ডিপসিক জ্বরে প্রযুক্তি দুনিয়া

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত

২০২২ সালের শেষ দিকে চ্যাটজিপিটি এসে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। হঠাৎ করে সবাই এআই নিয়ে কথা বলতে শুরু করল। কিন্তু চ্যাটজিপিটির পর এখন এসেছে ডিপসিক! পুরো দুনিয়া এখন ডিপসিক-জ্বরে তোলপাড়! এ নিয়ে লিখেছেন অনিন্দ্য নাহার হাবীব

ভাবুন তো, একদিন আপনি ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার ফোনের চ্যাটবট আপনার জন্য কফি অর্ডার করে দিয়েছে, আপনার মিটিংয়ের সিডিউল ঠিক করেছে, এমনকি আপনার বাচ্চার হোমওয়ার্কও করে দিয়েছে! হ্যাঁ, এটা কোনো সায়েন্স ফিকশন মুভির গল্প নয়, এটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর জাদু! আপনি নিশ্চয়ই চ্যাটজিপিটির কথা জানেন। চ্যাটজিপিটি শুধু একটি চ্যাটবট নয়, এটি হয়ে উঠল আমাদের ভার্চুয়াল বন্ধু, সহকারী, এমনকি শিক্ষকও! যা গল্প লিখতে পারে, কোড করতে পারে, এমনকি রসিকতাও করতে পারে। এআই আমাদের জীবনকে এতটাই বদলে দিয়েছে যে, আমরা এখন তাকে ছাড়া একদিনও ভাবতে পারি না। কিন্তু চ্যাটজিপিটির পর গুগল কোম্পানির বার্ড এলো, পরে নাম বদলে সেটা হলো জেমিনি। মাইক্রোসফট কো-পাইলটও বেশ জনপ্রিয়! তবে আপাতত বিশ্বজুড়ে কথা হচ্ছে ডিপসিক নিয়ে চীনের তৈরি এই এআই মডেল চ্যাটজিপিটির মতোই শক্তিশালী, কিন্তু এর বিশেষত্ব হলো এটি তৈরি হয়েছে অনেক কম খরচে। ডিপসিক প্রমাণ করেছে, কম বাজেটেও বিশ্বমানের এআই তৈরি করা সম্ভব। এটি শুধু এআই জগতেই নয়, বরং অর্থনীতি, প্রযুক্তি এবং রাজনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। তাহলে চলুন, জেনে নিই কীভাবে চ্যাটজিপিটি এবং ডিপসিক আমাদের বিশ্বকে বদলে দিচ্ছে এবং এআইয়ের এই যাত্রায় আমরা কোথায় যাচ্ছি। প্রথমেই ওপেনএআই কোম্পানির তৈরি চ্যাটজিপিটির কথা বলতে হয়। চ্যাটজিপিটি হলো এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), যা আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারে, প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, গল্প লিখতে পারে, এমনকি রসিকতাও করতে পারে। চ্যাটজিপিটি হলো আপনার ভার্চুয়াল বন্ধু, যে সবসময় আপনার সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত। আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন, ‘আকাশ কেন নীল?’ এটি আপনাকে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা দেবে। আবার যদি বলেন, ‘একটা মজার গল্প বলো, আপনাকে হাসাতে চেষ্টা করবে।’

এবার আসা যাক ডিপসিকে

বেশ কিছুদিন হচ্ছে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের তৈরি নতুন এআই ভাষা মডেল ‘ডিপসিক আরওয়ান’ সারা বিশে^ সাড়া ফেলে দিয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে চালু হওয়া এই সিস্টেম ইতিমধ্যেই অ্যাপ ডাউনলোডের শীর্ষ তালিকায় নিজের স্থান করে নিয়েছে। ডিপসিক দাবি করছে যে, তাদের এই নতুন এআই মডেল চ্যাটজিপিটির সমতুল্য। তবে চ্যাটজিপিটি তৈরিতে যেখানে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে, সেখানে ডিপসিকের এআই মডেল তৈরিতে খরচ হয়েছে অনেক কম। এটিকে বলা যেতে পারে ‘বাজেট ফ্রেন্ডলি চ্যাটজিপিটি’। এই সাশ্রয়ী প্রযুক্তির প্রভাব এতটাই ব্যাপক যে, শেয়ারবাজারে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের মূল্য হ্রাস ঘটিয়েছে এবং সিলিকন ভ্যালিতে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ডিপসিকের সাফল্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাত হইচই পড়ে গেছে। ডিপসিকের এত কম খরচে চ্যাটবট তৈরি করার পর এআই খাতে যুক্ত রাষ্ট্রের আধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া মার্কিন কোম্পানিগুলো চ্যাটবটের জন্য যে বিপুল অর্থ বিনিয়োগের কথা বলছিল, তা সংশয়ের মুখে পড়েছে।

ডিপসিকের কাজ

ডিপসিকের কাজ নিয়ে কিছুটা আলাপ না করলেই নয়। ডিপসিক হলো এক ধরনের সুপার-স্মার্ট এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট, যা আপনার কাজকে সহজ করে দিতে পারে। চ্যাটজিপিটির মতোই এটি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, লেখালেখি করতে পারে, অনুবাদ করতে পারে, এমনকি কোডিংও করতে পারে। অ্যাপ স্টোরে বলা হয়েছে, ডিপসিক তৈরি করা হয়েছে, ‘আপনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এবং আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য।’ সোজা কথায়, ডিপসিক হলো এমন একটি এআই সিস্টেম, যা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক এআই মডেলগুলোর সমান কাজ করতে পারে, কিন্তু অনেক কম খরচে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো এতদিন এআই গবেষণায় শীর্ষে ছিল, কিন্তু ডিপসিক সেই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে দিয়েছে।

ডিপসিকের গল্প : কীভাবে এলো

ডিপসিক কিন্তু হঠাৎ করে আকাশ থেকে পড়েনি। ২০২৩ সালে চীনের একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হাই-ফ্লাইয়ার ডিপসিক তৈরি করে। হাই-ফ্লাইয়ার মূলত বড় ডেটা বিশ্লেষণ করে, যা এআই গবেষণার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিপসিকের গবেষণা দল দ্রুত নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হতে থাকে। ডিপসিকের প্রধান নির্বাহী লিয়াং ওয়েনফেং বলেছেন যে তারা শুধু ব্যবসার জন্য এটা করেননি, বরং ‘উৎসাহ এবং কৌতূহল’ থেকে এই কাজ করেছেন।

ভি-থ্রি থেকে আরওয়ান

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ডিপসিক তাদের প্রথম এআই মডেল, ডিপসিক ভি-থ্রি, চালু করে। ভিথ্রি ছিল একটি শক্তিশালী এবং কম খরচের এআই মডেল, যা চ্যাটজিপিটির মতোই কাজ করতে পারত। যা লেখালেখি, অনুবাদ, কোডিং সবই করতে পারত।

এরপর আসে ডিপসিক আরওয়ান, যা ভি-থ্রির চেয়েও উন্নত এবং আরও দক্ষ। বিশ্বখ্যাত এআই গবেষক আন্দ্রেই কারপ্যাথি ডিপসিকের কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘অল্প বাজেটে বিশ্বমানের এআই মডেল তৈরি করে ডিপসিক সত্যিই দারুণ কিছু করে দেখিয়েছে!’

খরচের হিসাব : ডিপসিক বনাম চ্যাটজিপিটি

ডিপসিক নিয়ে কথা বলতে গেলে বারবার খরচের হিসাব চলে আসে। যদিও ডিপসিক ভিথ্রি এবং আরওয়ান তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছে মাত্র ৬০ লাখ ডলার এমনটাই কোম্পানিটি দাবি করে আসছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন যে, এখানে অনেক দিনের গবেষণায় যে খরচ হয়েছে তার হিসাবটা ধরা হচ্ছে না। এ বিষয়ে খুব শিগগির আরও জানা যাবে বলে আশা করা যায়। খরচের এই অংকটা অবশ্যই ছোট নয়, কিন্তু চ্যাটজিপিটির জিপিটি-ফোরের সঙ্গে তুলনা করলে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়ে যায়। কারণ, জিপিটি-ফোর তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১০ কোটি ডলারের বেশি।

আরওয়ানের জাদু

স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে এই প্রশ্নটাও আসছে যে, আরওয়ান এতটাই জনপ্রিয় কেন হচ্ছে? এর পেছনে আছে বেশ কয়েকটি মজার কারণ।

এটি মানুষের মতো চিন্তা করে। আরওয়ান হলো একটি চেইন অব থট মডেল। এর মানে হলো, এটি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিলে ধাপে ধাপে যুক্তি সাজিয়ে ব্যাখ্যা করে, ঠিক যেমন আমরা চিন্তা করি। সাধারণ এআই মডেলগুলো শুধু ডেটাবেজ থেকে তথ্য টেনে এনে উত্তর দেয়, কিন্তু আরওয়ান নিজের মাথা খাটিয়ে উত্তর তৈরি করে। ফলে এর উত্তরগুলো হয় অধিক নির্ভরযোগ্য এবং বোধগম্য। এই সক্ষমতার কারণে আরওয়ানকে ওপেনএআইয়ের ওয়ান মডেলের সমতুল্য ধরা হয়। জিরোওয়ানও একই পদ্ধতি ব্যবহার করে। দুজনের পারফরম্যান্স প্রায় সমান, কিন্তু আরওয়ানের আরও কিছু বিশেষ গুণ আছে।

গণিত ও কোডিংয়ে দারুণ পারফর্ম করে

সাধারণ এআই মডেলগুলো ভাষাগত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেও গণিত বা কোডিংয়ের মতো জটিল বিষয়ে তেমন ভালো করতে পারে না। কিন্তু আরওয়ান সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছে। যা গণিতের জটিল সমস্যা সমাধান করতে, কোডিং করতে পারে এবং সবকিছুই করে মানুষের মতো যুক্তি দিয়ে।

পৃথিবীতে কে আছে যে একদম ফ্রি জিনিস পছন্দ না করেন। আরওয়ানের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি একদম বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। ওপেনএআইয়ের ওওয়ান মডেল ব্যবহার করতে মাসে ২০ ডলার খরচ করতে হয়, কিন্তু আরওয়ান একেবারে ফ্রি। শুধু সাধারণ ব্যবহারকারীরা নয়, ডেভেলপাররাও এর কোড ডাউনলোড করে নিজেদের প্রোজেক্টে ব্যবহার করতে পারেন। এই সহজলভ্যতা আরওয়ানের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে। আরওয়ান প্রমাণ করেছে যে, কম খরচে এবং কম শক্তি ব্যবহার করেও উন্নতমানের এআই তৈরি করা সম্ভব। ওপেনএআইয়ের ও ওয়ানের তুলনায় আরওয়ান ৯৫ শতাংশ সস্তা এবং এটি মেটার এললামা থ্রি পয়েন্ট ওয়ানের মাত্র এক-দশমাংশ শক্তি ব্যবহার করে। যা সিলিকন ভ্যালির প্রচলিত পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করে দিয়েছে!

রাজনীতি ও বাজারের প্রভাব

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এআই তৈরি করতে সরকারের ওপর নির্ভরশীল। যেমন- সম্প্রতি ট্রাম্প ৫০০ বিলিয়ন ডলারের ‘স্টারগেট’ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। কিন্তু আরওয়ান প্রমাণ করেছে যে, সরকারি সাহায্য ছাড়াই কম খরচে উন্নত এআই তৈরি করা সম্ভব। আরওয়ানের সাফল্য এনভিডিয়ার মতো চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এনভিডিয়া, সেই কোম্পানি যারা আপনার কম্পিউটারে গেমিংকে মজাদার করে তোলে। কিন্তু এখন তারা শুধু গেমারদের জন্যই নয়, বরং পুরো এআই জগতের হিরো হয়ে উঠেছে।

১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি শুরু করেছিল গ্রাফিক্স কার্ড বানিয়ে। গেমাররা তাদের জিপিইউ (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট) পেলে খুশিতে আকাশে উঠত। কিন্তু হঠাৎ করে এনভিডিয়া বুঝল, তাদের জিপিইউ শুধু গেম নয়, এআই গবেষণা এবং ডেটা সেন্টারেও দারুণ কাজে লাগে।

এখন এনভিডিয়ার জিপিইউ হলো এআই গবেষকদের সুপারহিরো ক্যাপ। চ্যাটজিপিটি থেকে ডিপসিক, সবাই এনভিডিয়ার জিপিইউ ব্যবহার করে। এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং  কে বলা হচ্ছিল এআই জগতের রকস্টার। কিন্তু সমস্যা হলো, এনভিডিয়ার জিপিইউ জনপ্রিয় এবং এর দাম আকাশছোঁয়া। ডিপসিক প্রমাণ করেছে যে, অল্প বাজেটেও বড় কিছু করা সম্ভব। আরওয়ানের এই সাফল্য এআই জগতে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

ডিপসিকের প্রভাবে এনভিডিয়ার মতো মার্কিন কোম্পানিগুলো ক্ষতির মুখে পড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এআই অ্যাপ তৈরিতে যে বিপুল বিনিয়োগ করা হয়েছে, তার তুলনায় ডিপসিক অনেক কম খরচে তৈরি হয়েছে বলেই সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছে। মার্কিন অ্যাপগুলোর চেয়ে ডিপসিক তৈরিতে কয়েকশ কোটি ডলার কম ব্যয় হয়েছে। এই খরচের পার্থক্য এআই বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ডিপসিকের কম খরচে অ্যাপ তৈরি পুঁজিবাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। গত ২৭ জানুয়ারি এই অ্যাপটি পুঁজিবাজারের চিত্রই বদলে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এবং ডেটা সেন্টারগুলোর শেয়ারে বড় ধরনের ওঠানামা দেখা গেছে। এনভিডিয়া, যারা এআই পরিচালনার জন্য শক্তিশালী চিপ তৈরি করে, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার তাদের বাজার মূল্য ৬০ হাজার কোটি ডলার কমে যায়, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একদিনে কোনো কোম্পানির জন্য সর্বোচ্চ দরপতন। এনভিডিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাজারে মূলধনের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত সোমবার তাদের বাজার মূল্য ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ২.৯ ট্রিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় তারা মাইক্রোসফট ও অ্যাপলের পেছনে অর্থাৎ তৃতীয় স্থানে চলে যায়।

ডিপসিক তাদের এআই প্রযুক্তিতে এনভিডিয়ার চেয়ে অনেক সস্তা এবং কম জটিল প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। এই সাফল্য বিশ্বের শীর্ষ এআই চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এতদিন ধরে এআই উন্নয়নে বিশাল বাজেট এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চিপ অপরিহার্য বলে মনে করা হতো। কিন্তু ডিপসিকের সাফল্য এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং ভবিষ্যতে এআই বাজারের গতিপথ বদলে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। চীনের হাতে প্রযুক্তি-দুনিয়ার নেতৃত্ব চলে যেতে পারে এ ভাবনায় পশ্চিমা দেশগুলো চিন্তিত হয়ে পড়েছে। ডিপসিক আরওয়ান এআই জগৎকে কোথায় নিয়ে যাবে, তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com