মঙ্গলবার, ১১:৪১ অপরাহ্ন, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
এবারে আমাদের লক্ষ‍্য সংসদ ভবন-বরিশালে এনসিপির পদসভায় নাহিদ গৌরনদীতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ পন্ড বনানীতে পথশিশুকে ধর্ষণ নিবন্ধন চেয়ে আবেদন : ১৪৪ দলের কোনোটিই উত্তীর্ণ হতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু এনবিআরের আন্দোলনের জেরে আরও ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত গ্রেনেড হামলা মামলা : তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার কমিশনের ব্যর্থতার দায় সবাইকে নিতে হবে: আলী রীয়াজ অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি শরীরে কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না বুঝবেন যেভাবে

মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য অভি

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৫৩ বার পঠিত

২২ বছর আগে বিজ্ঞাপনের মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি।

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. শাহীনুর আক্তার মঙ্গলবার এ রায় দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুর রহমান।

রায় ঘোষণার সময় তিন্নির পরিবারের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

অভির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন বলেন, রায়ে তার মক্কেল ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

তবে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সৈয়দ মো. আবু জাফর রিজবী বলেন, খালাসের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। রায় পর্যালোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা নদীর ওপরে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-১-এর নিচে তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভির প্ররোচনায় মডেল তিন্নি তার স্বামীকে তালাক দেন। কিন্তু অভি এরপর তিন্নিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। তিন্নি এসব তথ্য মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন। ক্ষিপ্ত হয়ে অভি ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর রাতের যেকোনো সময় তিন্নিকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য গাড়িতে করে কেরানীগঞ্জ থানার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-১-এর কাছে ফেলে রাখেন। অভি কানাডায় পলাতক।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ মামলার ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।

অভির পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন এর আগে বলেছিলেন, ২০০৬ সালের ৩ নভেম্বর অভির পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাই তিনি পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন কানাডার অটোয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে। কিন্তু বহুবার লিখিত তাগিদ দেওয়ার পরও পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়নি। তিনি বিচারের সম্মুখীন হতে চান। কিন্তু তাকে পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। অভিকে পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য ২০১০ সালে তার পক্ষে রিট করা হয়েছিল।

মামলার নথিতে দেখা যায়, পলাতক অভি কানাডা থেকে তার আইনজীবী বরাবর একটি চিঠি লেখেন। এর কপি দেওয়া হয় ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলিকেও।

এতে অভি দাবি করেন, ১৯৯৬ সালে বরিশাল-২ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আইনের শাসনে বিশ্বাসী। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তিন্নি হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে তার নাম ছিল না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com