বুধবার, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫ বার পঠিত

টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ বুধবার কিংসটাউনের আর্নোস ভেলে স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট হাতে খুব একটা বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারেনি টাইগাররা। ২০ ওভার শেষে ১২৯ রানের মান বাঁচানো এক সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দল। তবে বল হাতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে টাইগাররা। ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০২ রানেই থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টাইগাররা জয় পায় ২৭ রানে। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চার ওভারের ভেতরই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শুরুটা হয় অধিনায়ক লিটন দাসকে দিয়ে। সাদা বলের ক্রিকেটে আরও একবার ব্যর্থ হন তিনি। ১০ বলে ৩ রান করে আকিল হোসেনের বলে স্টাম্পিং হন তিনি।

৪ বলে ২ রান করে রস্টন চেজের বলে বোল্ড হন তানজিদ হাসান। মাঝে কিছুটা বিরতি দিয়ে তিন ওভারে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুটা হয় সৌম্য সরকারকে দিয়ে, ১৮ বলে ১১ রান করে রান আউট হন তিনি।

পরের ওভারে এসে রিশাদ হোসেনকে বোল্ড করেন গুদাকেশ মোতি। ২৫ বলে ২৬ রান করে আলজারি জোসেফের বলে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৫ ওভার অবধি মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের রান একশ পার করাই মুশকিল হয়ে যাবে। ৮০ রানে তখন ছয় উইকেট নেই বাংলাদেশের।

কিন্তু শেষটা দারুণ করেন শামীম হোসেন। ১৭ বলে ২ ছক্কা ও সমান চারে ৩৫ রান করেন। শেষ ওভারে ১৫ ও শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মোতি, ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে আকিল হোসেন পান এক উইকেট।

রান তাড়ায় নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট নেন তিনি। শুরুটা করেন ব্রেন্ডন কিংকে দিয়ে। ৫ বলে ৮ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর চার বলে শূন্য রান করা আন্দ্রে ফ্লেচারকেও ফেরান একইভাবে।

পাওয়ার প্লের ভেতরই বাংলাদেশকে আরও দুটি উইকেট এনে দেন মাহেদী হাসান। জনসন চার্লস ১২ বলে ১৪ রান করে তার বলে হন এলবিডব্লিউ। এরপর ৮ বলে ৫ রান করা নিকোলাস পুরান প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন সৌম্যের হাতে।

পাওয়ার প্লে শেষ হতেই তানজিম সাকিবকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক লিটন। তিনিও উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু স্লিপে রস্টন চেজের ক্যাচ ছেড়ে দেন সৌম্য। আঙুলে ব্যথা পেয়েও মাঠও ছাড়তে হয় তাকে।

পরের ওভারে এসেই অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ। ৭ বলে ৬ রান করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। রোমারিও শেফার্ডকে তানজিম ফেরালে ৪২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এরপরই জুটি গড়েন রস্টন চেজ ও আকিল হোসেন। তারা দুজন এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। এবার ব্রেক থ্রু এনে দেন রিশাদ হোসেন। ৩৪ বলে ৩২ রান করা চেজকে বোল্ড করেন তিনি, ভাঙেন ৪৯ বলে ৪৭ রানের জুটি।

মাঝের ব্যাটারদের ফিরিয়ে দিতে পারলেও বাংলাদেশ পারছিল না আকিলকে আউট করতে। ১৯তম ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে তাকে ফেরান তাসকিন, শুরুটাও করেছিলেন তিনি। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো মিরাজের হাতে আকিল ক্যাচ দিলে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com