আবার সেই শব্দ ভেসে আসে কানে।
যে কথা সোনা মাত্র ব্যাথা লাগে প্রাণে।
এ শব্দ কত যে পীড়া দেয় বাংলার নারীকে।
সে কি বোঝানো যায়,কখনো কাউকে?
কেউ কি আগ্রহ নিয়ে জানবে কখনো?
হে-নারী জাগো,আর নারে!
অবহেলিত নিপীড়িত সমাজ তোমার জন্য,
আজ কিছু নিয়ে বসে নেই।
তোমার বুঝ,তোমাকেই বুঝতে হবে।
তোমার পাওনা তোমাকেই গুছিয়ে নিতে হবে।
যাকে আপন করে কেঁদে মরবে,
জেনে রাখো,সেই তোমাকেই করবে পর।
তোমাদের জীবন গড়ার তরে,
উঠছে আমার কোমল মনে ঝড়।
হে-নারী জাগো,আর নারে!
ঐ পুরুষ জাতিকে সম্মান করবো,
দেবনা আর অহেতুক কর।আপনার পায়েই দাঁড়াবে তোমরা,
করবে কেন ওদের কাঁধে ভর?
হে -নারী জাগো আর না রে!
মনে সাহস করে শক্তি ভরে,
নিজ নিজ ক্ষমতা বলে-
অফিস,আদালতে গিয়ে
বলছো না কেন ওনাদের?
এবার এসেছি আমরা।
অতএব, সরে দাঁড়াও তোমরা।
হে -নারী জাগো আর নারে!
তোমার পাশের জনের বাবা-
সুখের লাগি,জমি-জমা বিক্রি করি,
টাকা খরচ করেছেন সারিসারি।
সে কি সুখের সাথে-
থাকতে পেরেছে স্মামীর বাড়ি?
কি করে থাকবে সুখে,
ও- যে পুরুষ রুপী অন্য কিছু।
তবে,হবে কেন ওদের হাতের পুতুল?
তুমিও যে সৃষ্টির সেরা জীব।
আজ এসেছে দিন বদলের পালা।
চেয়ে দেখ, বেশি নেই বেলা।
চার দেয়ালের শ্বাস রুদ্ধকর বন্দী জীবন-
ভেঙ্গে বের হয়ে আসো,আসোনা!
মুক্ত আকাশের অবতলে-
প্রাণ ভরে নাও বিশুদ্ধ বাতাস!
না হলে মরণ তোমাদের –
অচিরেই করবে গ্রাস।
প্রতিনিয়ত হয়ে যাবে-
আমাদের নারী শক্তির হ্রাস।
হে-নারী জাগো,আর নারে!