কম ঘুম যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঠিক তেমনি বেশি ঘুমও ডেকে আনতে পারে বিপদ। শরীর সুস্থ থাকতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তার মধ্যে রাতের ঘুম সবার জন্য অনেক বেশি জরুরি। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সকালে ঘুম সহজে কাটে না। সারাদিন চোখে ঘুম ঘুম ভাব থাকে। আর ঘুম ভাব থেকে সারাদিনের কাজেও ভুল করে ফেলেন। এখন প্রশ্ন হলো, এই ঘুম ঘুম ভাব কীভাবে কাটাবেন। আসুন জেনে নেই সেগুলো কি কি-
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে
দীর্ঘ সময় ঘুমানোর ফলে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ কম হয়ে যায়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কয়েক বছর আগে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে ব্যক্তি ৯ ঘন্টার বেশি ঘুমায় এমন ব্যক্তির শরীরে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি।
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে
আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময়ের ঘুম বাম ভেন্ট্রিকুলারের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। আর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ঘুমানোর কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। যেসব নারীরা ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমান তাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
ডিপ্রেশন বাড়ে
দীর্ঘ সময় ঘুমানোর ফলে আপনার মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এটি হতাশার দিকেও নিয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ ঘুম শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে হ্রাস করে। আর এর প্রভাব মন মেজাজের ওপরেও পড়ে।
পিঠে ব্যথার সমস্যা
যারা চেয়ারে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে তারা যদি দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমায়, তাহলে তাদের পিঠে ব্যথা, ঘাড়, কাঁধে ব্যথার সমস্যা হতে পারে। আর এর ফলে আপনার কাজের ওপরেও প্রভাব পড়তে পারে।
ওবেসিটি
ঘুমের পরও ক্লান্তি? মোটা হয়ে যাচ্ছেন না তো?ওবেসিটি থাকলে বা শরীরের মেদ জমলে সারা দিন ঘুম পায়। ঘুরেফিরে বারবার ক্লান্তি আসে।