ঢাকায় ১২ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে গণতন্ত্রের লড়াইয়ের নতুন ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না। এই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
আজ রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কিন্তু কোন সংবিধান? যে সংবিধান আওয়ামী লীগ নিজেরাই কাটছাট করে নিজেদের মতো করেছে? সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চায় তারা। অথচ, বাংলাদেশের জনগণ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে—নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।’
‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না’ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তার প্রমাণ গত দুটি নির্বাচনে পাওয়া গেছে। দেশে এখন কারও ভোটাধিকার নেই। জনগণ ভোট দিতে পারে না। ভোটাধিকারের কথা বললে হামলা, নির্যাতন, গুম, খুন করা হয়।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কথায় কথায় উন্নয়নের কথা বলে। অথচ উন্নয়নের নামে তারা লুটপাট করছে। শতভাগ বিদ্যুতের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেওয়া হয়েছে। সরকারি গবেষণা সংস্থাই বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তিকে অপচুক্তি ও লুটেরা মডেল বলা হয়েছে।’
১২ জুলাই ঢাকায় তারুণ্যর সমাবেশ করা হবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এই সমাবেশ থেকে সমগ্র তরুণ সমাজ দেশকে পুণরাদ্ধার রার জন্য গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার করার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছেন। ১২ জুলাই ঢাকার সমাবেশ থেকে বর্তমান সরকারের পদত্যাগে এক দফা কর্মসূচি দেওয়া হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে হটাতে হবে।’