জাগরণের কবি কাজী নজরুল উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের জাতীয় কবির কবিতা ও গান মুক্তি সংগ্রাম ও সকল স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে আমাদের সাহস যুগিয়েছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা জানান।
বাণীতে ফখরুল বলেন, ‘২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী। আজকের এ শুভ দিনে আমি মহান কবির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি, বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত কিংবদন্তী।
তিনি বলেন, পারিবারিক জীবনের নানা অভিঘাতের মধ্যেও তিনি নিরলসভাবে সাহিত্যচর্চা করেছেন। কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী নজরুল ছিলেন বহুমুখী বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। তার ক্ষুরধার লেখনিতে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মন্ত্র উচ্চারিত হয়। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তার কবিতা ও গানে ভালবাসা, মানবতা ও সাম্যের বাণী বিধৃত হয়েছে। তার কবিতার মূল উপজীব্য ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষনের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।
মহাসচিব বলেন, তার চল চল চল গানটিকে জাতীয় রণসঙ্গীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেশ থেকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও বৈষম্য নির্মূল করতে তার লেখনীর আবেদন চির দিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি সঙ্গীতে তার অবদান চিরকালীন ও চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।
মহান কবির বিদেহী আত্মার প্রতি পূণর্বার গভীর শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।