প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে লন্ডনের হোটেল ম্যারিয়টে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকায় আগামী সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হবে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করে দেবে। কাজেই বিএনপি-জামায়াত যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। সকলকে (আ.লীগের নেতাকর্মীরা) আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করতে হবে, কারণ আমরা ভোটে জিততে পারি। পাশাপাশি তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের ওপর আস্থা রাখবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে ধ্বংস করেছে। তাহলে তাদের ওপর জনগণের আস্থা থাকবে কিভাবে। জনগণ ইতিমধ্যে জেনে গেছে তারা (বিএনপি-জামায়াত) চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী, লুটেরা ও খুনিদের পৃষ্ঠপোষক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। তারেক রহমানকে দুর্নীতির দায়ে সাজা দেয়া হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর পাচার করা ৪০ কোটি টাকা সরকার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট দেশ হবে বলে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডেল্টা-২১০০ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে কোনো গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না।
বিএনপিকে ভোট চোর আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারেক জিয়া ভোট চোর, তার মাও ভোট চোর। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মতো ভোট কারচুপি করে আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে। তারা কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করেনি।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কয়টি দল অংশ নিয়েছিল এবং কতটি ভোট পড়েছিল? আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। কারণ আমরা জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কারো কিছু বলার নেই। সেই নির্বাচনের ফলাফল কী ছিল? বিএনপির ২০ দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছিল? ২০ দলীয় জোট সেই নির্বাচনে ২৯টি আসন এবং একটি উপনির্বাচনে ১টি, মোট ৩০টি আসন। আর বাকি আসন ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের। আমরা সব পেয়েছি। জনগণের কাছে তাদের (বিএনপি-জামায়াত) অবস্থান কী যে তারা এত লাফালাফি করে?