জনপ্রিয় সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সমরেশ মজুমদারের বড় মেয়ে দোয়েল মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘গত দুইদিন কেবিনেই রাখা হয়েছিল বাবাকে। কিন্তু আজ বিকেলে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউতে) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’
ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রমণের কারণে তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জানা গেছে, শ্বাসনালীতে গভীর সংক্রমণ রয়েছে সমরেশ মজুমদারের। গত এক যুগ ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) সমস্যা রয়েছে তার।
এদিকে, ৭৯ বছর বয়সী এই সাহিত্যিকের অসুস্থ হওয়ার খবরে সাহিত্যিক পরিমণ্ডলে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দ্রুত তার আরোগ্য কামনা করছেন গুণগ্রাহীরা।
জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বহু পুরস্কার এবং সম্মানে ভূষিত হয়েছেন সমরেশ মজুমদার। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে সাহিত্য আকাদেমী পুরস্কার, বঙ্কিম পুরস্কার এবং আইআইএমএস পুরস্কার জয় করেছেন। চিত্রনাট্য লেখক হিসাবে জয় করেছেন বিএফজেএ দিশারী এবং চলচ্চিত্র প্রসার সমিতির অ্যাওয়ার্ড।
উপন্যাস লিখে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলায় তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সমরেশ মজুমদার। উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, মৌষলকাল, গর্ভধারিণী, সাতকাহনসহ বাংলা ভাষার বেশ কিছু পাঠকপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন তিনি।
সমরেশ মজুমদার জন্মগ্রহণ করেন বাংলা ১৯৪২ সালে। তার শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা বাগানে। প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল থেকে। কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে।
স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক সম্পন্ন করে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবনে তিনি আনন্দবাজার পাবলিশার্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গ্রুপ থিয়েটারের প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড আসক্তি।