পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ মে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের জন্য বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ। আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক আছে। তারা বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক উন্নয়নকে তার নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতির কারণে অন্যান্য দেশের কাছে একটি মডেল হিসেবে বর্ণনা করে।’
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এর প্রেসিডেন্ট ডেভিড আর ম্যালপাস ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘মূলত (যুক্তরাষ্ট্রে) আমরা বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে ‘অনিশ্চয়তা’ আছে বলে তারা কখনো শোনেননি।
তিনি বলেন, ‘আমরা গুজবে কান দিই না।’
মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর সফল ও অর্থবহ হবে।
বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে, বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ঢাকায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সাথে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে ‘রিফ্লেকশান অন ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশিপ’- শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ভাষণ দেবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রা এবং গত পাঁচ দশকে দেশে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।
এছাড়াও, ‘বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ফিফটি ইয়ার্স অব পার্টনারশিপ’- শিরোনামে একটি মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসাররা ২ মে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করবেন।
এরপর ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুজানে পি ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
একই দিনে তিনি ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিসা বিসওয়ালের আমন্ত্রণে মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সাথে উচ্চ পর্যায়ের নির্বাহী গোলটেবিলে অংশ নেবেন এবং মূল বক্তব্য দেবেন।
সন্ধ্যায় দ্য ইকোনমিস্টকে সাক্ষাৎকার দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা’র সাথে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৪ মে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি