ঢাকা সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কবি ফয়সাল আহমেদ। গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকার কাঁটাবনস্থ কবিতা ক্যাফে অডিটোরিয়ামে ঢাকা সাহিত্য পরিষদের মাসিক সভায় সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শোয়েবের প্রস্তাবে নির্বাহী সভাপতি জায়েদ হোসাইন লাকী সমর্থন দিলে সর্বসম্মতিক্রমে ফয়সাল আহমেদ এ পদের জন্য নির্বাচিত হন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্ট মণ্ডলীর সদস্য শিশুসাহিত্যিক হুমায়ুন কবির ঢালী, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক রোখসানা মহুয়া, যুগ্ম সম্পাদক জান্নাত তায়েবা, সাহিত্য সম্পাদক মাইনুদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।
ফয়সাল আহেমদ লেখালিখি শুরু করেন মাধ্যমিকে পড়া অবস্থায়। সেই থেকে তার অবিরত সাহিত্য চর্চা অব্যাহত আছে। লিখে চলেছেন একের পর এক কবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া। তার সবথেকে সাহিত্যের ভালো লাগার বিষয় কবিতা। চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকায় খবরের উপরে ছড়া লেখার মধ্যদিয়ে বিষয় ভিত্তিক ছড়া লেখা শুরু। সেই থেকে আজ অব্দি লেখালেখি করে চলেছেন। কবি ফয়সাল আহেমদ জন্মগ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার ছোট্ট শহর শিল্পনগরী দর্শনাতে। পিতা : মাে. আজিজুল হক, মাতা : রাফেজা বেগমের কোল জুড়ে, ১৬ ফাল্গুন ১৩৯৭ বঙ্গাব্দ/ ১৯৯১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃস্পিতবার এক বসন্তে এই ধরায় আসেন কবি। একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করে টেলিভিশন সাংবািদকতা উপস্থাপনা শুরু করেন ২০১৯ সালে চ্যনেল এস টিভিতে ‘কৃষিকথা’ নামে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা দিয়ে। শুরু হয় টেলিভিশনে কাজের যাত্রা। এরপরে এটিএন বাংলার এগ্রিকালচার অনুষ্ঠান রিচারর্জার হিসেবে কাজ করেছেন।
ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হিসেবে লেখালেখি করেছেন অনেক পত্র-পত্রিকায়। নিয়মিত লিখছেন সাহিত্য পত্রিকায়। সেইসাথে নিজেই সম্পাদনা করছেন ‘বাংলাচারু’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা । অন্যতম সংগঠক- সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন দর্শনা সাহিত্য পরিষদের। দর্শনা সাহিত্য পরিষদ পুনরুজ্জীবিত করেছেন ফয়সাল আহেমদ। সাহিত্য পরিষদের মুখপাত্র হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং কবি-সাহিত্যিকদের সংগঠিত করেছেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন। জেলা লেখক সংঘের আবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন বহু আগ থেকে। বর্তমানে ঢাকা সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। ফয়সাল আহমেদ লেখালেখি ও সাহিত্য চর্চার কারণে সামাদৃত হয়েছেন। সকল কবি ও লেখকদেরর ভালোবাসা, বন্ধুত্ব এবং তাদের সান্নিধ্য কামনা করেন। অতঃপর মৃত্যুর আগ অব্দি লিখে যেতে চান, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কবি।