রবিবার, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ডিসেম্বরের মধ্যে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে বরিশাল বিভাগ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ৬৪ বার পঠিত

বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে বুধবার তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট এবং চতুর্থ পর্যায়ে সারাদেশে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ১৮টি উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার বসতঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধণ ঘোষণা করেছেন। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বরিশালের বানরীপাড়াসহ দেশের তিনটি উপজেলায় সংযুক্ত থেকে উপকারভোগীর সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। বানারীপাড়া উপজেলার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুইজন নারী ও দুইজন পুরুষ উপকার ভোগীর সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি কথা বলেছেন।

একইসাথে প্রধানমন্ত্রী বরিশাল বিভাগের ১৮টি উপজেলাকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন। এরআগে বিভাগের ঝালকাঠির কাঠালিয়া এবং পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলাকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন। এনিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি উপজেলার ২০টি ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, বিভাগকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার লক্ষ্যে সুবিধাভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত করে ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে দ্বীপ জেলা ভোলা ছাড়া বিভাগের সবকটি জেলা শতভাগ ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের আগেই ভোলা জেলাকেও শতভাগ ভূমি ও গৃহহীন মুক্তের আওতায় এনে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলেকে ‘ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা করা সম্ভব হবে।

সূত্রমতে, ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রমের আওতায় বরিশাল বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩ হাজার ২৪১টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে দুই ধাপে ছয় হাজার ৭৬০টিসহ মোট ২০ হাজার একটি ঘর তৈরী করে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট এবং চতুর্থ পর্যায়ে মোট ৪ হাজার ৭৭৯টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে।

নতুন এসব ঘর অত্যন্ত মজবুত ও টেকসইভাবে তৈরী হয়েছে দাবী করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, চতুর্থ পর্যায়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ’ টাকা করে ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক উপকারভোগীকে স্থানভেদ ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের দুই শতক করে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com