দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বাংলাদেশ ও কলকাতার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। তবে এর মধ্যে ওপার বাংলার কাজ নিয়েই তার বেশি ব্যস্ততা। সবশেষ দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘অমানুষ’ সিনেমাটি।
সম্প্রতি ঢাকায় ফিরে ভক্ত-দর্শকদের নতুন খবর দিলেন সৃজিতপত্নী। জানালেন তার সবশেষ কাজের খবর। এবার শুধু অভিনয়ই না, কণ্ঠাভিনয়ও করেছেন তিনি। ভারতের রেডিও স্টেশন ‘রেডিও মিরচি’র জনপ্রিয় ‘সানডে সাসপেন্স’ অনুষ্ঠানে নিজেকে তুলে ধরেছেন মিথিলা। শমীতা দাশগুপ্তের লেখা গল্প ‘মৌমাছির শোক’-এ কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। এটি মূলত ‘ছায়া জগতের গল্প’র বই থেকে নেওয়া।
এতে কণ্ঠ দেওয়া প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘তিনজন নারীকে ঘিরে এর মূল কাহিনি। এ নাটকে মূল তিন নারী চরিত্রের একজনের কণ্ঠে অভিনয় করেছি আমি। আমার কণ্ঠ চরিত্রের নাম রোকসানা। এটি অভিবাসী এক নারীর চরিত্র। এমন কাজ আগে করা হয়নি, দারুণ লেগেছে।’
দিকে, মিথিলাকে ঘিরেই ওপার বাংলায় নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘মেঘলা’। এটি নির্মাণ করেছেন অর্ণব মিদ্দা। এর মধ্যে শেষ হয়েছে এর দৃশ্যধারণের কাজ। এতে মেঘলা চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। মিথিলার কথা ভেবেই এর গল্প বুনন করা হয়। আর সে কারণে দারুণ খুশি তিনি।
সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে মিথিলা জানান, অনাথ আশ্রমে বড় হয় মেঘলা। এরপর বিয়ে হয় চিকিৎসক আবিরের সঙ্গে। মেঘলার গর্ভে তাদের প্রথম সন্তান আসে। সেই অবস্থায় দুজনে পাহাড়ে বেড়াতে যায়। সেখানে আবিরকে হারিয়ে ফেলে মেঘলা। ফিরে আসে শহরে। এরপর শুরু হয় মেঘলার নতুন জীবনযুদ্ধ। পেটে সন্তান নিয়ে খুঁজতে থাকে স্বামী আবিরকে।
মিথিলার ভাষ্য, ‘যেমনটি চেয়েছি এটি ঠিক তেমনই একটি গল্প। নারী মুক্তির গল্প। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় (ব্র্যাক) কাজ করার সুবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জনগোষ্ঠীর নারীদের খুব কাছ থেকে দেখেছি ও কাজ করেছি। তাই সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীদের প্রতিবন্ধকতা ও তাদের অদম্য শক্তির সঙ্গে আমি ভীষণ পরিচিত। মেঘলা তেমনই এক লড়াকু মেয়ের গল্প। এক সাধারণ মেয়ে কিভাবে অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে তারই জ্বলন্ত উদাহরণ মেঘলা।’