রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হল কক্ষে ডেকে শিবির ট্যাগ দিয়ে হিন্দু ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘হলে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। আমরা শীঘ্রই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শিবির তকমা দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়। প্রক্টর দপ্তরে দেওয়া অভিযোগপত্রে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমানসহ কয়েকজনের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে অনশনে বসেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এদিকে মশাল মিছিল করেন ক্যাম্পাসের বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। তারা দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি ও ছাত্রলীগের নৈরাজ্য বন্ধের দাবি জানায়।
ওইদিন ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তিন আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। এতে ড. অনুপম হীরা মণ্ডলকে আহ্বায়ক, ড. তানজিল ভূঞা ও ড. রায়হান গফুরকে সদস্য করা হয়। এ ছাড়া এঘটনায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় শাখা ছাত্রলীগ।