চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে তিনটি এয়ারলাইন্স হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর একটি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’। বাকি দুটি এয়ারলাইন্স সৌদি আরবের- ‘সৌদিয়া’ ও ‘ফ্লাইনাস’। এসব এয়ারলাইন্স এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ যাত্রীকে বহন করবে।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফ্লাইট সূচি চূড়ান্ত করে তা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে তিন এয়ারলাইন্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর বিমান ভাড়া কিছুটা বাড়তে পারে।
গত বছর বিমান ৭৫টি ফ্লাইটে ৩১ হাজার যাত্রী বহন করে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ মুসল্লি হজে যাবেন। এ বছর বয়সের সর্বোচ্চ সীমার শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরাও হজে যেতে পারবেন। এ বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ৮৯ হাজার ৩৮ জন জেদ্দা বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়া-আসা করবেন। বাকি ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৮ হাজার ১৬০ জন যাতায়াত করবেন মদিনা বিমানবন্দর দিয়ে।
সূত্র জানায়, গত বছরের মতো এবারও এই তিন এয়ারলাইন্সকে হজযাত্রী আনা-নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। এয়ারলাইন্স তিনটিকে ফ্লাইট সূচির অনুমোদন নিতে হবে সৌদি আরবের ‘জেনারেল অথরিটি ফর সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (গাকা) থেকে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির আগেই তা করতে বলা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন, ২০২৩ সালের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সৌদি সরকারের দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি হয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন যাত্রী সৌদি আরবে হজ পালন করতে পারবেন। সে লক্ষ্যে হজযাত্রী পরিবহনকারী এয়ারলাইন্সগুলোকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গাকা কর্তৃক অনুমোদিত ফ্লাইট সূচি মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, এবারও নিজেদের বহরে থাকা বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজে করে হজযাত্রী আনা-নেওয়া করবে বিমান বাংলাদেশ। চলতি বছর হজযাত্রী বেশি হওয়ায় ফ্লাইটও বেশি হবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ৭০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বিমানের এ প্রস্তাব বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় হয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। গত বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বিমান বলছে, গত হজ মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার ২১ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, ২৫ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণার কথা জানিয়েছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তবে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।