সোমবার, ০১:০৬ অপরাহ্ন, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

অক্টোবর মাস থেকে ইউক্রেনের শস্য বহনকারী জাহাজ অর্ধেকে নেমেছে

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৮৯ বার পঠিত

জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে একটি যুদ্ধকালীন চুক্তির আওতায় ইউক্রেন থেকে শস্য ও অন্যান্য খাবার রফতানির কার্যক্রম আলোর মুখ দেখে। তবে সম্প্রতি এসব পণ্যবাহী জাহাজগুলোর পরিদর্শন কার্যক্রম সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অর্ধেকে নেমেছে।

জাতিসঙ্ঘ ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, পরিদর্শন কার্যক্রমের গতি কমে যাওয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্য রফতানি থেমে আছে এবং অনেক মানুষ ক্ষুধার্ত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কিছু কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া ইচ্ছে করে পরিদর্শনের গতি কমিয়ে দিয়েছে। একজন রুশ কর্মকর্তা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ইস্তাম্বুলের যুগ্ম সমন্বয় কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, আগস্টে শস্য রফতানির প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রতিদিন গড়ে ৪ দশমিক ১টি জাহাজের পরিদর্শন কার্যক্রম চলছিল। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনে পৌঁছানো ও ইউক্রেন থেকে রওনা হওয়া জাহাজ, উভয়কেই বিবেচনা করা হয়েছে। রাশিয়া, ইউক্রেন, জাতিসঙ্ঘ ও তুরস্কের পরিদর্শন দল নিশ্চিত করে যে জাহাজে শুধু খাদ্য পরিবহন হচ্ছে এবং এতে অন্য কোনো কৃষি পণ্য বা অস্ত্র নেই।

সেপ্টেম্বরে দৈনিক পরিদর্শনের সংখ্যা বেড়ে ১০ দশমিক ৪ হয় এবং অক্টোবরে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৬ -এ পৌঁছায়। কিন্তু এরপর থেকে এই হার কমছে। নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এটি যথাক্রমে ৭ দশমিক ৩, ৬ দশমিক ৫ ও ৫ দশমিক ৩ হয়।

জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ১০০টির চেয়েও বেশি জাহাজ তুরস্কের তীরে পরিদর্শনের জন্য অথবা পণ্য খালাস করার আবেদনপত্র জমা দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। গত ২ সপ্তাহ ধরে পণ্য খালাসের আবেদন জমা দেয়া থেকে শুরু করে পরিদর্শন পর্যন্ত যেতে গড়ে ২১ দিন করে সময় লেগেছে।

জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, আগস্টের ১ তারিখ থেকে শুরু করে এ যাবত এই চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের মোট ১ কোটি ৭৮ লাখ টন কৃষি পণ্য ৪৩টি দেশে রফতানি করা হয়েছে। রাশিয়ার অন্যতম প্রধান মিত্র চীন সবচেয়ে বেশি পণ্য গ্রহণ করেছে। এরপরই আছে স্পেন ও তুরস্ক।

নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলো এই চুক্তির আওতায় রফতানি করা গমের ৪৪ শতাংশ পেয়েছে। জাতিসঙ্ঘ জানায়, এর দুই তৃতীয়াংশ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গেছে। জাতিসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা মোট ৮ শতাংশ শস্য কিনেছে।

সংস্থাটি জানায়, বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ এই সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ এর কারণে না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে। মহামারীর আগে এই সংখ্যা মাত্র ১৫ কোটি ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com