শীতকাল এলেই যেন কমলালেবুর স্বাদ চলে আসে মুখে। শীতের আমেজে খোসা ছাড়িয়ে লেবু খাওয়ার আনন্দই আলাদা। শুধু মনের আনন্দে খাওয়া নয়, শরীরের পুষ্টি জোগাতেও এই ফল যথেষ্ট কার্যকরী। কমলালেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এই কারণে চিকিৎসকরাও কমলালেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে শুধু মিষ্টি কোয়াগুলো নয়, ফলের খোসাও সমানভাবে উপকারী। খোসা ছাড়িয়ে আমরা প্রায়ই ফেলে দিই। কিন্তু অনেকরকম কাজেই এটি লাগানো যায়। এই প্রতিবেদনে থাকছে তেমন কিছু কথা-
রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর করে :
বাসন মাজা বা অন্যান্য কাজে আমরা সাধারনত পাতিলেবু ব্যবহার করি। তবে কমলালেবুও কম উপকারী নয়। অনেকসময় দেখা যায়, রান্নাঘরের ডাস্টবিন থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
কমলালেবুর খোসা এই গন্ধ দূর করতে অনেকটাই সাহায্য করে। এর জন্য একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে কমলালেবুর খোসা দিয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর জলে এক বা দু’কাপ ভিনিগার মিশিয়ে দিতে হবে। পানিটা ঠান্ডা হয়ে এলে একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে রেখে দিতে হবে। এবার কখনো দুর্গন্ধ বেরোলে ডাস্টবিনের ভিতরের দেয়ালে ভালো করে স্প্রে করে দিতে হবে। দেখবেন আর দুর্গন্ধের জন্য নাক কুঁচকাতে হচ্ছে না।
পানীয়ের স্বাদ বাড়ায় :
চা বা অন্য পানীয়ের স্বাদ বাড়ানোর জন্য মাঝে মাঝেই আদা, পাতিলেবু মেশানো হয়।
একইভাবে ব্যবহার করা যায় কমলালেবুর খোসা। এটি রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে। এবার পানীয় তৈরি করার সময় তাতে অল্প পরিমাণ গুঁড়ো যোগ করুন। দেখবেন, পানীয়ের স্বাদ একেবারে পাল্টে গিয়েছে।
খোসার জেলি :
কমলালেবুর জেলির মতো এর খোসা থেকে তৈরি জেলি বেশ সুস্বাদু হয়।
উপকরণ- দু’টা কমলালেবু, দু’কাপ লেবুর খোসা, এক টেবিল চামচ জিলেটিন, সামান্য জল, দু’টেবিল চামচ চিনি, আর দু-তিন ফোঁটা অরেঞ্জ এসেন্স।
পদ্ধতি- একটি পাত্রে প্রথমে পানি ও জিলেটিন মিশিয়ে নিন। এবার কমলালেবু থেকে রস বের করে নিয়ে ছিঁবড়েটা ফেলে দিন। এবারে খোসাগুলো পেস্ট করে নিতে হবে। এবার জিলেটিন মিশ্রণটি হালকা আঁচে গলে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। এরপর মিশ্রণটি ঠান্ডা করে তাতে রস, পেস্ট করা ছাল, চিনি আর অরেঞ্জ এসেন্স মিশিয়ে দিন। চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত হালকা আঁচে রাখুন। চিনি গলে গেলে মিশ্রণটি ঠান্ডা করে ছাঁচে ফেলে চার থেকে ছয় ঘণ্টা ফ্রিজে রাখলেই তৈরি কমলালেবুর খোসার জেলি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস