রবিবার, ০৯:১১ অপরাহ্ন, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

রসিক নির্বাচন : মিছিল-মিটিং ও শোডাউনে নিষেধাজ্ঞা

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২
  • ৯৪ বার পঠিত

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের সকল প্রকার মিছিল-মিটিং ও শোডাউনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া প্রার্থীদের লাগানো সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আবদুল বাতেন।

তিনি বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো নির্বাচন কমিশন থেকেও মনিটরিং করা হবে। কোথাও কোন ধরনের অনিয়ম হলে ভোট কেন্দ্র বন্ধসহ পুরো নির্বাচন বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন। এই নির্দেশের মাধ্যমে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলো নির্বাচন অফিস। এ সময় জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ইভিএমে ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে মগভেটিং কার্যক্রম চলবে। এজন্য খুব দ্রুত দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু হবে। সকল কেন্দ্রে ইভিএম এবং গোপন কক্ষ ছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে যা যা করণীয়, তাই করা হবে জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা  বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য আইনানুগ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আচরণ বিধি প্রতিপালনের কোনো বিকল্প নেই। আচরণ বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর পক্ষে লাগানো সকল ধরনের ব্যানার, পোস্টার ফেস্টুন, বিলবোর্ডসহ প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ করতে হবে। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হলেও এখনো নগরজুড়ে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারে ছেয়ে আছে। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কোন প্রার্থী যদি নিজ দায়িত্বে এসব সামগ্রী অপসারণ না করে তাহলে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাইবান্ধার মতো সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রাখতে কি ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলছেন, এগুলো নির্বাচন কমিশনের নলেজে আছে। কেউ যেন কোনো ভাবেই নির্বাচন কমিশনারের উদ্যোগে বাধা তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিকে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থ মাঠে রয়েছেন।

আগামী ২৭ ডিসেম্বর ২০১টি ভোট কেন্দ্রে সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার নিয়ে তৃতীয় বারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com