এশিয়া কাপের কল্যাণে, মাত্র ছয় দিনের ব্যবধানে ফের ভারত পাকিস্তান মুখোমুখি মহারণে। আর পাকিস্তান-ভারত মহারণ মানেই ষোলআনা শিহরণ। পাকিস্তান-ভারত মহারণ মানেই ক্রিকেটের থমকে যাওয়া, পাকিস্তান-ভারত লড়াই মানেই আবহাওয়া বদলে যাওয়া, পাকিস্তান-ভারত মুখোমুখি মানেই অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়া, পাকিস্তান-ভারত মাঠে মানেই রহস্যের গোলক ধাঁধা।
পাকিসতান-ভারত মহারণ মানেই রহস্য আর উত্তেজনায় গা ছমছমে। সীমান্তের সঙ্ঘাত ফিরে আসে ক্রিকেটের মাঠে। খেলার জন্য খেলা নয়, খেলাটা লড়াই-যুদ্ধের পরিচয়। লড়াইটা সম্মান, ইতিহাস, ঐতিহ্যের; লড়াইটা মতবাদ, মতভেদ আর বিশ্বাসের বৈপরীত্যের। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলে না, চোখে চোখ রাঙায় তারা। মাঠের বাইরে যদিও ভিন্ন কথা, ব্যাট-বলেই যত ঔদ্ধত্য।
যাহোক, ফের ধূম্রজাল ছড়িয়ে আজ পাকিস্তান-ভারত মুখোমুখি মরুর বুকে৷ আরব সাগর পাড়ে ফাইনালের বন্দরে নোঙর ফেলতে ফের লড়াই হবে নীল-সবুজে। যদিও পাকিস্তান এখন রঙিন হয়ে আছে বেদনার নীল রঙে, ছয় দিন আগে তারা ভারতের কাছে হারতে হয়েছে একই মাঠে। যদিও লড়াই করে হেরেছে, তবুও হারকে তো হারই বলে।
তবে এবার যে পাকিস্তান ছেড়ে কথা বলবে না, তা হয়তো রোহিত বাহিনীও বুঝে গেছে। আহত বাঘের মতো পাকিস্তানিরা হিংস্র হয়ে আছে, ক্ষিপ্ত হয়ে আছে শিকার ধরতে। কতটা আগ্রাসী রূপে, হংকং তা ভালো করেই টের পেয়েছে। ভারতের বিপক্ষে যেই দলটা বুক চিতিয়ে লড়েছে, হিংস্র পাকিদের কাছে তারা মাত্র ৩৮ রানে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। ফলে বুঝাই যাচ্ছে, পানি এবার বেশ ঘোলাটেই হবে।
তবে ভারতই কি ছেড়ে কথা বলবে? সূর্য কুমাররা তো প্রস্তুত উত্তাপ ছড়াতে। যেউ উত্তাপে জ্বলে-পুড়ে পাকিস্তানিরা ছাড়খার হয়ে যাবে। হার্দিক পান্ডিয়াও হয়তো প্রস্তুত আছে, ফের তার শিকার সম্মুখে এসেছে। তবে পুরনো শিকারি কোহলি হয়তো একটু বেশিই খুশি, পাকিস্তান মানেই যে তার ব্যাটটা হাসে। অর্থাৎ লড়াইটা হবে সেয়ানে-সেয়ানে।
পরিসংখ্যান যদিও নীল আভা বেশি ছড়ায়, ১০ দেখায় আটবারই জয় তার। তবুও পাকিস্তান মানেই তো অনিশ্চয়তায় টইটম্বুর। কখন কী ঘটিয়ে ফেলায় বলাটা বড় দায়। তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে পাকিস্তান-ভারত সমর্থকদের বাইরে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, চাওয়া একটাই। ম্যাচটা জমে উঠুক, পায়ে-পা রেখে ছুটে চলুক, চোখে চোখ রেখে লড়াই হোক আর সর্বশেষে ক্রিকেটেরই জয় হোক।