তুলুজের ঘরের মাঠে বুধবার রাতে ৩-০ গোলের সহজ জয় পেয়েছে পিএসজি। গোল করেছেন নেইমার, এমবাপ্পে ও বের্নাট। নেইমার ও এমবাপ্পের দুজনের গোলে অবদান রাখেন লিওনেল মেসি।
আগের ম্যাচে মোনাকোর সাথে পয়েন্ট হারানোর হতাশা পেছনে ফেলে তুলুজের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজালো পিএসজি। আক্রমণ-ত্রয়ীর দুজন গোলের দেখা পেলেন। গোল না পেলেও সতীর্থদের দুটি গোলে অবদান রেখে দারুণ পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেন লিওনেল মেসি।
তুলুজের গোলরক্ষক একের পর এক দুর্দান্ত সব সেভ না করলে পিএসজির জয়ের ব্যবধান আরো বড় হতো।
৩৭তম মিনিটে প্রথম এগিয়ে যায় পিএসজি। মেসির চমৎকার থ্রু বল ধরে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। এই গোলের সুবাদে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে টানা ১৬ ম্যাচ গোল/এসিস্ট-এ অবদান রাখলেন নেইমার। লিগে পাঁচ ম্যাচে নেইমারের গোল হলো ৭টি।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমাণাত্মক খেলা অব্যাহত রাখে পিএসজি। ৫০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন এম্বাপ্পে। যেখানে বড় অবদান মেসিরই। বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে পাশেই থাকা এম্বাপ্পেকে পাস দেন তিনি। ডান পায়ের শটে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন হুয়ান বের্নাট। এম্বাপ্পের শট পোস্টে লেগে গোলরক্ষককে ছুঁয়ে বল যায় স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের সামনে। ফাঁকা জাল খুঁজে নিতে একটুও ভুল করেননি তিনি। দাপুটে পারফরম্যান্সে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্রিস্টোফ গালতিয়ের এর শিষ্যরা।
পুরো ম্যাচে পিএসজির দাপটের চিত্র দেখা মিলে পরিসংখ্যানেও। ৬২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য তারা শট নেয় ২০টি, যার ১৩টি ছিল শট অন টার্গেট। অন্যদিকে তুলুজের ১৪ শটের ৭টি ছিল শট অন টার্গেট।
অপরদিকে সিরি-আ’তে স্পেজিয়ার সাথে ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে জুভেন্টাস। গোল দুটি করেন ভ্লাহোভিচ ও আর্কাডিউস মিলিক।