বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় তারা তাদের যোগ্যতানুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবে। আজ সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এই দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছে, তেমনি সমতলের মানুষও আছে। আমাদের যেকোনো মূল্যে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। আমরা দেশে শান্তি চাই। শান্তি চাই।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর ৩০০ ফিটে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের শহীদরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশ গড়ার জন্য। লাখো শহীদের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। একই জনগণ ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশকে রক্ষা করেছিল। ওসমান হাদিসহ যারা শহীদ হয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারের আমলে যারা গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে, আমাদের সকলে মিলে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আই হ্যাভ এ প্ল্যান। দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। কাজ করতে হলে দেশের প্রতিটা মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে। আপনারা যদি আমাকে সহযোগিতা করেন ইনশাআল্লাহ আমি তা বাস্তবায়ন করতে পারব, সফল হব। নবী করীম (সা.)-এর ন্যায়ের আলোকে আমরা দেশ পরিচালনার প্রচেষ্টা করব।
তারেক রহমান বলেন, যে মানুষগুলোর জন্য আমার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জীবন উৎসর্গ করেছেন সেই মানুষগুলোকে ছেড়ে আমি কোথাও যেতে পারি না। আমরা যে দলের, যে ধর্মের যে জাতের মানুষই হই না কেন, সকলে মিলে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন নারী, পুরুষ, শিশু সকলেই নিরাপদ থাকতে পারে। সবাই মিলে আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ।
দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানিয়ে, যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে। কুড়িল মোড়সংলগ্ন এলাকায় ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয় এ উপলক্ষে।