অন্য ভাষায় :
শুক্রবার, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, ০৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার ১৬৩৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৫ বার পঠিত

সাপ্তাহিত ছুটির দিন শনিবার অন্যান্য দিনের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকা সত্ত্বেও ১৪ হাজার ১০০ মেগাওয়াট চাহিদার মেটাতে ১ হাজার ৬৩৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে দিনটি শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা থেকে এই লোডশেডিং শুরু হয়, যখন বিদ্যুতের চাহিদা বরাবরই খুব কম থাকে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৩৮৭ মেগাওয়াট।

আরেকটি তথ্যে দেখা যায় শনিবার দুপুর ১২টায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে ১২ হাজার ৬৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে সর্বোচ্চ চাহিদা হবে ১৫ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট এবং দিনের ব্যস্ত সময়ে ১৩ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।

কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দিন যত এগোবে, লোডশেডিংয়ের পরিমাণ তত বাড়বে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

রাজধানী ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে লোডশেডিং এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি নীতি অনুসরণ করায় বেশিরভাগ গ্রামীণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার শিকার হয়েছে। জনরোষ এড়াতে এটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এর আগের সপ্তাহে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শেষ কার্যদিবসে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮২৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন,‘চলতি সপ্তাহে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ২ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।’

শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ৪০১ মেগাওয়াট এবং সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে ১৪ হাজার ২৪৫ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ না বাড়ানো পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিপিডিবির কর্মকর্তারা।

তিনি জানান, গ্যাস সংকটের কারণে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র অচল হয়ে পড়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল ৩ এপ্রিল নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে।

পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনিং) এম কামরুজ্জামান বলেন,‘এখন আমরা আশা করছি এটি ৮ এপ্রিল চালু হতে পারে এবং পুনরায় কার্যক্রম শুরু করতে পারে।’

তিনি আরো জানান, সামিটের এলএনজি টার্মিনাল পুনরায় চালু হলে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে। চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে এলএনজি টার্মিনালটির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়।

পেট্রোবাংলার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ৪ হাজার এমএমসিএফডির বেশি চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস সরবরাহ ছিল ২ হাজার ৬৪০ এমএমসিএফডি।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com