অন্য ভাষায় :
শুক্রবার, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান চায় চীন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের দলে যাদের রাখলেন ওয়াকার দীর্ঘ বিরতি শেষে বলিউডে ফিরছেন প্রীতি জিনতা রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী গরমে পোষা প্রাণীর যত্ন দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিলে অভিভাবকদের উদ্বেগ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩
  • ৫০ বার পঠিত

নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর মাউশি। নতুন কারিকুলামে ক্লাস পরীক্ষা বা কোনো প্রকার মডেল টেস্টও নেয়া যাবে না। পরীক্ষা বাতিলের এমন নির্দেশনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এমনিতেই পড়ার টেবিলে বসে না। এখন যদি পরীক্ষাও বাতিল করা হয় তা হলে তো আমাদের সন্তানদের পড়ালেখাতেই আর ফেরানো যাবে না।

অন্য দিকে শিক্ষাবিদরা বলছেন, পরীক্ষা অবশ্যই থাকবে বা রাখতে হবে। তবে এই পরীক্ষা পদ্ধতির হয়তো পরিবর্তন আনতে হবে। আর পরীক্ষা নামের ভীতি দূর করতেই মূলত নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা শব্দটি বাদ দিয়ে বরং সামষ্টিক মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। আর অভিভাবকদের উদ্বেগের বিষয়টিও একেবারে অমূলক নয়। শিক্ষকরা যদি অভিভাবকদের সাথে রেখে মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও তাদের মতামত নিতে পারেন তাহলেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ভিতি কাটিয়ে উঠে আনন্দের সাথে শিক্ষালাভ করতে পারবে।

সূত্র মতে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে। এ দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনো প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেয়া যাবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী। এ গাইডলাইনের বিষয়ে পরে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে মাউশি। এর আগে গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে এক আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেয়া যাবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে, তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।

অপর দিকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই দু’টি শ্রেণীতে পাঠদান করাতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্যান্য শ্রেণীর মতো এখানেও মডেল টেস্ট বা পরীক্ষা নেয়া প্রস্তুতি চলছে। এসব অভিযোগ সামনে আসার পর সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দিয়েছে মাউশি। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা আসার পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। অনেকেই জানতে চাইছেন পরীক্ষাই যদি না থাকে তাহলে আমার সন্তান কি শিখছে বা কি জানতে পারছে তার প্রতিফলন আমরা কিভাবে বুঝতে পারব? অনেক অভিভাবক জানতে চাইছেন বিকল্প উপায়ে মূল্যায়নের কথা বলা হলেও আমরা তো এ বিষয়ে একেবারেই বেখবর। তাই সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তারাও এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন।

যদিও মাউশি থেকে জারি করা পাঁচ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে পড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা/মডেল টেস্ট নেয়া যাবে না। এর কোনো রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা কমিশনের সাবেক সদস্য কাজী ফারুক আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়া দিগন্তকে জানান, সারা পৃথিবীতেই এখন পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে। তবে সেখানে যেভাবে বা যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়ে অভিভাবকরা সেই মূল্যায়ন কাজে সম্পৃক্ত থাকেন। কাজেই অভিভাবক অবহিত থাকেন তার সন্তান কিভাবে বা কতটুকু শিক্ষা অর্জন করতে পারছে। আমাদের দেশে যেহেতু আগের কোনো অভিজ্ঞতা নেই তাই অভিভাবকদের এই উদ্বেগ রয়েছে।

এই শিক্ষাবিদ আরো বলেন, পরীক্ষার ভীতি দূর করতে এবং শিক্ষার সাথে আনন্দ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ধরে রাখতেই বিকল্প উপায়ে এখন নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। গতানুগতিক পাঠ ধারায় পরিবর্তন আনতেই সরকার এই প্রক্রিয়া চালু করছে। নতুন এই মূল্যায়ন পদ্ধতির সাথে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক সবাই যখন পরিচিত হয়ে যাবে এবং অভ্যস্ত হয়ে যাবে তখন আর কোনো সমালোচনাও থাকবে না আমি মনে করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com