প্রকৃতিতে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় ত্বকেও পানির অভাব অনুভূত হচ্ছে। শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে মিশে থাকা ক্ষতিকর কণাগুলি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে। চিকিৎসকদের মতে,শুধু শুকনো কাশি নয়, শ্বাসনালির উপরে এবং নীচের অংশে সংক্রমণের জন্যও দায়ী এই দূষিত বায়ু। দীর্ঘ দিন ধরে সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া-সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুসফুস সতেজ রাখার প্রথম শর্তই হলো ধূমপান ত্যাগ। এছাড়াও এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে তরতাজা রাখে।
বেরি জাতীয় ফল: ফুসফুস ভালো রাখতে নিয়মিত খেতে হবে বেরি জাতীয় ফল। এতে থাকে প্রচুর অ্যান্থ-স্যানিনস। আমাদের ফুসফুস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেডিক্যাল কারণে। এটি রোধে কাজ করবে এ ধরনের ফল। সেই সঙ্গে এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে।
তিসি বীজ: এই বীজে ফাইটোয়েস্ট্রোজেন যৌগগুলির পাশাপাশি ওমেগা-৩ বেশি মাত্রায় থাকে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই যৌগ হাঁপানি রোগীদের অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে । সেক্ষেত্রে প্রতি দিন দুই টেবিল চামচ তিসি পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন।
লাল রঙের ফল এবং সবজি: বিশেষজ্ঞদের মতে, লাল ক্যাপসিকাম, টমেটোর মতো সবজি ও ফলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফুসফুসের জন্য উপকারী। শ্বাসনালির প্রদাহ কমাতে টমেটোর রস বেশ কার্যকরী।
হলুদ: ফুসফুসকে চাঙ্গা করতে হলুদও বেশ উপকারী। এর অ্যান্টি-ইমফ্লেমেটরি গুণাগুণ ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। তাই শীতের সময় খাদ্যতালিকায় দুধ-হলুদ রাখতে পারেন।
লবণ: লবণও কিন্তু হাঁপানির উপসর্গকে কমিয়ে দিতে পারে। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে প্রয়োজনীয় লবণ যোগ করুন খাবারে। তবে অবশ্যই বাইরে থেকে কিনে আনা প্যাকেটজাত খাবার খাবেন না। বরং বাড়িতে তৈরি খাবার খান। এতে ভালো থাকবে ফুসফুস।