অন্য ভাষায় :
শনিবার, ০১:২১ পূর্বাহ্ন, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান চায় চীন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের দলে যাদের রাখলেন ওয়াকার দীর্ঘ বিরতি শেষে বলিউডে ফিরছেন প্রীতি জিনতা রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী গরমে পোষা প্রাণীর যত্ন দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি

ঈদের ৬ দিন ফেরিতে বন্ধ থাকবে সাধারণ ট্রাক পারাপার

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩
  • ৩১ বার পঠিত

ঈদে নৌপথে যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে নানা উদোগ নিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে নৌপথে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল সংক্রান্ত ‘ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা’ শেষে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন। সভায় নৌ সচিব মোস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারেও ঈদের যাত্রীসেবা নিয়ে সবাইকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আমাদের ঈদের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২২ এপ্রিল। আমরা ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের তিন দিন ও পরের তিনদিন পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড় থাকে। এজন্য নৌ চলাচলের জন্য সংকেত মেনে চলতে হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশন, নৌ পুলিশকে আরও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সদরঘাট এলাকায় বিশেষ করে যখন লঞ্চগুলো আমাদের এখান থেকে ছেড়ে যাবে তখন বড় লঞ্চগুলো ভিড়বে তখন ছোট ছোট নৌযান চলাচল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এটা কঠোরভাবে দেখছি। সন্ধ্যার পরে কোনো বাল্কহেড চলাচল করবে না। এটা আরও কঠোরভাবে দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটা পাবলিক মিটিং করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাই। এখানে যারা আছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানানো উচিত যে তারা ৪-৫ লাখ মানুষকে, মানুষের কষ্ট হয় কিন্তু বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে না। আমি মন্ত্রী হিসেবেও এই পথ দিয়ে সদরঘাটে যেতে পারিনি। অন্য নৌপথ দিয়ে যেতে হয়েছে। কাজেই এই চ্যালেঞ্জ আছে। তা মোকাবিলার জন্য বসেছি।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, আমাদের যে বিভিন্ন বন্দর আছে সেখানে যাত্রী সেবার জন্য বাথরুম-টয়লেট ফেসিলিটিজ যেগুলো রয়েছে সেগুলোর মান আরও বাড়াতে হবে। আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় আমরা ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছি। হরিনা-আলু বাজারেও ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ যেন নির্বেঘ্নে নৌ সেবা নিতে পারে সেজন্য সবাইকে নিয়ে আলোচনা করেছি। পুরাতন যে লঞ্চ অনেকে সরিয়ে ফেলেছে। আধুনিক লঞ্চ সংযুক্ত হচ্ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছিল পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আর নৌপথ ব্যবহার করবে না। কিন্তু কথাটা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। নৌপথে চলাচলের আগ্রহ কমে যায়নি বরং আগ্রহ বাড়ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিকেএমইএ এবং বিজেএমইএকে অনুরোধ জানিয়েছি তারা যেন রোটেশন করে ছুটি দেয়। যাতে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। তাতে শুধু নৌ পথ না, রেল ও সড়ক পতেও চাপ কমে যাবে। এতে যাত্রী চলাচলের সুবিধা হবে।

ঈদে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হবে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট তালিকা দেওয়া আছে। আমাদের জানামতে ঈদের সময় তারা ভাড়াটা ঠিক নেয়। অন্য সময় কম নেয়। সে কারণে মনে হয় ভাড়াটা মনে হয় বেশি হয়ে গেল, বিষয়টা সঠিক না।

পদ্মা সেতু হওয়ার পর যাত্রী কমেছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটা সত্য। যারা পদ্মা সেতুতে ওঠেনি তারা ঈদ সামনে রেখে তারা ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পদ্মা সেতু হওয়ার পরে দক্ষিণাঞ্চলের দরজা খুলে গেছে। নৌপথের ওপর চাপ কমে গেছে এটা স্বাভাবিক। চাদপুর, ভোলা, সন্দ্বীপ, ভোলা, হাতিয়ার চাহিদা কমেনি। অনেকেই পরিবার নিয়ে নৌ পথকেই বেছে নেন। এটাকে আপন এবং নিরাপদ মনে করেন। চাপ কমে গেলেও চাহিদা কমে যায়নি। ক্ষতি হলে লঞ্চ মালিকেরা লঞ্চ চালাতেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com