বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৮৪৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০০/৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শেষে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বেআইনি জনতাবদ্ধে মারাত্মক দেশীয় অস্ত্র সদ্যে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয়। এ সময় তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। এসময় তারা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে মহাসমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, সে সময় পুলিশের একটি দল সাঁজোয়া যানসহ এগিয়ে আসতে থাকে নয়াপল্টনের দিকে। সেখানে ছররা গুলি-টিয়ার শেল ছোড়া হয়। আমীর খসরুর বক্তব্যের পর পরই সভামঞ্চের মাইক বন্ধ হয়ে যায় এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা বসে পড়েন। ১০ মিনিটের ব্যবধানে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের তোপের মুখে পুরো এলাকার নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।
এরপর বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নেমে যান মঞ্চ থেকে। এ সময় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি হ্যান্ডমাইকে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা-গুলিবর্ষণ এবং অসংখ্য নেতাকর্মী আহত করার প্রতিবাদে রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা দেশব্যাপী হরতাল। তিনি পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের হামলার নিন্দা জানান এবং আজকের হরতাল সফল করার আহ্বান জানান।