দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল শনিবার ঢাকা এসেছেন। সুলতান ও তার ৪২ জনের মতো সফরসঙ্গীকে বহনকারী রয়েল ব্রুনাই এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান এদিন দুপুরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ সময় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে নিয়ে ব্রুনাই সুলতানকে স্বাগত জানান। তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। পরে বিমানবন্দরেই সুলতান হাজী হাসানালকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সুলতানকে বরণ করা হয়। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল সুলতানকে গার্ড অব অনারও প্রদান করে।
জানা গেছে, ব্রুনাইয়ের সুলতানের সঙ্গে দেশটির রাজ পরিবারের সদস্য, বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঢাকায় এসেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এই প্রথম ব্রুনাইয়ের কোনো সুলতান ঢাকা সফরে এলেন। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি হামিদ এবং সুলতান হাজী হাসানাল নিজ নিজ দেশের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় অস্থায়ী অভিবাদন মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান উপভোগ করেন। এর পর রাষ্ট্রীয় অতিথি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং পরে উভয়েই নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
আজ রবিবার সুলতান হাজী হাসানাল ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তার কার্যালয়ে বৈঠক করবেন তিনি। পরে পিএমওর চামেলী হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রুনাইয়ের একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের পর উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল, বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগ এবং দুই দেশের নাবিকদের সনদ দেওয়াসহ তিনটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।