দেরিতে হলেও মুখ খুললেন তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। নীরবতা ভেঙে জানান দিলেন নিজের উপস্থিতি। সরব হয়েছেন লিটন দাস, সৌম্য সরকারও। জানালেন রক্তপাত বন্ধের আহবান।
‘কোটা আন্দোলন’ নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই সরব জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তাওহীদ হৃদয়কে দিয়ে যার শুরু। এরপর শরিফুল ইসলাম, তানজিদ তামিম, তানজিম সাকিবরা মুখ খুললেও সিনিয়র ক্রিকেটাররা ছিলেন দর্শক হয়ে।
এই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হতে থাকে সমর্থক মহলে। অনেকটা বাধ্য হয়ে বুধবার নীরবতা ভাঙেন মুশফিকুর রহিম। এরপর মেহেদী মিরাজ আর তাসকিন আহমেদও নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন।
তবে বরাবরই যেকোনো দুঃসময়ে মাথা তুলে দাঁড়ানো তামিম ইকবালকে স্মরণ করছিলেন অনেকেই৷ দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলেন সমর্থকেরা। কেউ কেউ তো নিন্দার তীরও ছুড়ছিলেন।
তবে অবশেষে বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম। তিনি লিখেন, ‘আপনারা জানেন, বড় ভাইয়ের অসুস্থতায় আমার পরিবারের একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। আমি দেশের বাইরে আছি। তবে দেশে যা হচ্ছে, তা জেনে মনটা আরও অস্থির হয়ে উঠেছে।’
তিনি আরো লিখেন, ‘কোনো র’ক্ত’পা’ত, কোনো মৃ’ত্যুই কাম্য নয়। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই কোনো সং’ঘা’ত নয়, আলোচনায় সমাধান হোক। এই অস্থিরতা দ্রুত কেটে যাক। দেশ ও দেশের মানুষ ভালো থাকুক।’
এদিকে লিটন দাস বলেন, ‘কোথাও কোন র’ক্ত’পা’ত, কোন মৃ’ত্যুই কেউ চায় না। দেশের তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই আর কোন ভাইবোনদের উপর সহিংসতা দেখতে চাই না। চলমান সংকটের যৌক্তিকভাবে সমাধান হোক। দেশটা আমাদের সবার।’
সৌম্য সরকার শান্তি চেয়ে লিখেন, ‘কোনো সংঘাত না, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক সব সমস্যার। প্রার্থনা করি আর কোনো মা যেন সন্তান না হারায়। শান্তি ফিরে আসুক সবার জীবনে।’
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগ আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশও নিয়েছে কড়া ভূমিকা। তাতে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন।