অন্য ভাষায় :
শনিবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

খালেদা জিয়ার ‘মুক্তি’ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে: ফখরুল

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২২
  • ৮৯ বার পঠিত

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গত,  শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এ মানব সমাবেশ আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশনেত্রীর মুক্তি এখন জনগণের দাবি, এটি গণদাবি। দাবি অবশ্যই সরকারকে মেনে নিতে হবে। যদি মেনে না নেয় তাহলে গণদাবিকে অস্বীকার করবার জন্যে অতীতের সরকারগুলোর যে অবস্থা হয়েছিল, তাদেরকেও একই পরিণাম বরণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। আমরা বিগত দেড় মাস-দুই মাস ধরে তার মুক্তির জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে, গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি। সারাদেশে আমাদের অসংখ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছে।’

রাষ্ট্রপতির সংলাপের নামে আবারও সরকার ক্ষমতায় থাকার নানা কলাকৌশল করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আবারও বিভিন্ন রকম কলাকৌশল শুরু করেছে। রাষ্ট্রপতি সংলাপ ডেকেছেন। কীসের সংলাপ? এই সংলাপ ইতিমধ্যে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল বর্জন করেছে। তারা পরিস্কার করে বলেছে যে, এই সংলাপে লাভ হবে না, অর্থহীন সংলাপ। নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হয়।’

তিনি বলেন, ‘সংকট উত্তরণে আমাদের স্পষ্ট কথা, সবার আগে গণতন্ত্রের প্রতীক, স্বাধীনতা-সার্বেভৌমত্বের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে জনগণের ভোটের ক্ষমতাকে ফিরিয়ে দিন। এটিই হচ্ছে একমাত্র পথ। এর বাইরে আর কোনো পথ নেই।’

সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তি এই দুইটিকে এক করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আজকে এখানে অনেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এসেছেন। আসুন বৃহত্তর স্বার্থে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সরকার, জনগণের বাংলাদেশ, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করি, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন. ‘কালকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ভাষণ দিয়েছেন জনগণের উদ্দেশ্যে, জাতির উদ্দেশে। এই জনগণের সামনে যদি বলেন, আপনাদের ভোটে আমি নির্বাচিত, আপনারা ভোট দিয়েছেন- এটা ঠাট্টা মস্কারা ছাড়া আর কিছু না। আমরা বলতে চাই, এই মস্কারা করার দিন শেষ। খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে। আপনাকে বিদায় নিতে হবে। ডানে-বামে যাওয়ার জায়গা নেই, বিদেশে যাবেন ভিসাও বন্ধ।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এরা নির্বাচন কমিশন বানাতে পারবে না, এরা নির্বাচন কমিশন বানালে সেই নির্বাচন কমিশন মানি না। ওদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। ওরা চলে যাবে। চলে যাবার পরে আমরা নতুন সরকার বানাব, নতুন করে নির্বাচন কমিশন বানাব। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ব। ওই নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বার্থে আসুন শপথ গ্রহণ করি।’

নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল পিন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক নিপুণ রায় চৌধুরী, বিএনপির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমীরুল ইসলাম আলীম।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com