রবিবার, ০৯:০৪ অপরাহ্ন, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ইউক্রেনে রুশ হামলা : অন্তরালে আরেক সমীকরণ

সাইফুল খান
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ১০৭ বার পঠিত

ইউরোপিয়ান পলিসি সেন্টারের প্রধান রিকার্ডো বরহেজ ডি ক্যাস্ট্রো এবং প্রোগ্রাম এসিসটেন্ট রিতা বারবারোসা লোবো পাক্ষিক ট্রান্সআটলান্টিকে ১৮ পৃষ্ঠার এক দিক-নির্দেশনামূলক নিবন্ধ লিখেছেন। এর শিরোনাম হচ্ছে, ‘এ কমপাস অ্যান্ড এ কনসেপ্ট : এ গাইড টু দ্য ইইউ অ্যান্ড ন্যাটো স্ট্রাটেজিক আউটলুকস।’

ইউরোপিয়ান পলিসি সেন্টার মূলত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভিত্তিক থিংকট্যাংক। এই নিবন্ধ শুরু হয়েছে ইউক্রেনের উপর রুশ আগ্রাসনের বিষয় নিয়ে। কোভিড-১৯-এ ধুঁকতে থাকা দুনিয়া যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে, তখনই রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর তার আগ্রাসন শুরু করে। ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া সেই যুদ্ধ ইতিমধ্যে ছয় মাস অতিক্রম করেও সমাপ্তির কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। ইইউ পলিসি সেন্টার মূলত ন্যাটো এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে ঐক্যবদ্ধ করে ডজনখানেক অ্যাজেন্ডার দায়িত্ব দিতে চাচ্ছে। অবশ্য, আলাদা আলাদাভাবে একই অ্যাজেন্ডায় তারা কাজ করছে। তবে তাদের আরেকটি সংগঠন ওএসসিই (অর্গ্যানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ) আছে। ৫৭ দেশের সমন্বয়ে গঠিত ওএসসিই হয়তো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।

এ নিবন্ধটি মূলত সম্প্রতি স্পেনের মাদ্রিদে জুন মাসে অনুষ্ঠিত মাদ্রিদ সামিটের ডিক্লারেশনের বৃহৎ রূপ। মাদ্রিদ সামিটে প্রায় ২২টি ঘোষণা দেয়া হয়। এর প্রথমটি শুরু হয় অসত্য দিয়ে। ন্যাটোকে একটি রক্ষণাত্মক সামরিক সংগঠন হিসেবে মহিমান্বিত করে তুলে ধরা হলেও দুনিয়া জানে ইরাক ও আফগানিস্তানে তাদের আক্রমণাত্মক কার্যক্রম কী ছিল।

ন্যাটো, মার্কিন, ব্রিটিশ তথা অল ইউরোপীয়ান সৈন্যদের সমন্বয়ে গঠিত বহুজাতিক বাহিনী ইরাকে এমন ধ্বংসলীলা চালায়, যা হালাকু খানের চেয়েও ভয়াবহ। মানববিধ্বংসী আধুনিক মারণাস্ত্রের ভয়াবহতা হালাকু খানের হামলায় ছিল না।

নোয়াম চমস্কি তার ফেইল্ড স্টেট গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, বাগদাদে শান্তি স্থাপনের জন্য ২৮ মে, ২০০৪ সালে প্রতিনিধি দলের প্রধান জো কার যখন ফাল্লুজায় পৌঁছান, তখন নৃশংসতা আর ভয়াবহতা দেখে একে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার চেয়েও ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেন। খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য রাস্তা বন্ধ, চেকপয়েন্টের নামে অহেতুক হয়রানি, পানি ও খাবারের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে রাখা হয়েছে। জাতিসঙ্ঘ খাদ্য অধিকারবিষয়ক প্রধান প্রতিবেদক জ্যাঁ জিগলার ব্রিটিশ ও মার্কিন সৈন্যদের অভিযুক্ত করেন এই মর্মে যে বিধ্বস্ত শহরে খাদ্য ও পানি বঞ্চিত করে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। রাশিয়া ইউক্রেন ইস্যুতে পাশ্চাত্য এমনভাবে কথা বলছে যেন তাদের হাতে রক্তের কোনো দাগ নেই। তাই পুতিন তাদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আমেরিকা দেশটা তৈরি হয়েছে রেড ইন্ডিয়ানদের রক্ত আর লাশের ওপর। আজকে আধুনিক আমেরিকার আলো ঝলমলে সভ্যতার জৌলুসের ভেতর কান পাতলে অভাগা রেড ইন্ডিয়ান নারী, শিশু, বৃদ্ধদের কান্নার শব্দ শোনা যাবে।

উল্টাদিকে ১৯৯৯-২০০০ সালে চেচেনিয়ায় গণহত্যা চালান পুতিন। ব্রিটিশ স্টাইলে চেচেনদের ভেতর থেকে একজন মির জাফর বেছে বের করেন। তিনি হলেন মুফতি আখমাদ আবদুল হামিদোভিচ কাদিরভ। ২০০৪ সালে চেচেন স্বাধীনতাকামীদের হাতে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত পুতিনের রুশ ফেডারেশনের চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পুতিনের সাথে জোট বেধে স্বজাতির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেন এই আখমাদ আবদুল হামিদোভিচ কাদিরভ। গ্রোজনিকে মাটিতে মিশিয়ে দেন। লাখ লাখ চেচেন নাগরিক হত্যা করেন। তারই সন্তান আজকের রমজান কাদিরভ। পুতিনের বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে জেনারেল পদমর্যাদায় ভূষিত হন। ঐতিহাসিকভাবে উভয় গ্রুপের হাতেই রক্তের দাগ লেগে আছে। গণহত্যার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই দু’পক্ষ সহজে কেউ কাউকে ছাড়বে না- এটাই স্বাভাবিক।

যুদ্ধ বন্ধ বা শান্তি চুক্তির আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই ইইউ পলিসি মেকারদের হাতে।
ইইউ পলিসি সেন্টার তাদের নিবন্ধে প্রায় ৩০টি ন্যাটোভুক্ত দেশ এবং ২৭ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশকে একই ছাতার নিচে নিয়ে এসে নতুন কর্মকৌশল ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সাজিয়েছে।

ন্যাটো ও ইইউর বাজেট সমন্বয় করে অভিন্ন লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কর্মপদ্ধতি নির্ধারণের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। যদিও থিংক ট্যাংকগুলোর প্রকাশিত তথ্য দিয়ে তাদের পূর্ণাঙ্গ উদ্দেশ্য কেবল অনুমানই করা যায়। উভয় সংগঠনের জনবলকে ঐক্যবদ্ধভাবে একই ছাতার নিচে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। দুটি আলাদা স্বাধীন সংস্থা হলেও তাদের উদ্দেশ্য ও কাজের ধরন একই হবে, সেটা একই ব্যবস্থার মাধ্যমে। ইউরোপ এবং ন্যাটোকে আরো শক্তিশালী ও নিরাপদ করতেই এই লক্ষ্য। ‘ইইউ পলিসি সেন্টার’ নতুন বিশ্বব্যবস্থার যে সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য, সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যদিও এই কার্যক্রমের রুপরেখা প্রণয়ন ২০১৬ সাল থেকেই শুরু হয়েছে।

ইইউর প্রথম এজেন্ডা হলো রাশিয়ান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জেগে ওঠা। রাশিয়ার আগ্রাসনকে দেখা হচ্ছে ইউরোপের জন্য অভিন্ন নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে। রাশিয়ান ফেডারেশনের তরফ থেকে শান্তি আলোচনার কথা বলা হলেও ইইউর পক্ষ থেকে আপাতত আলোচনার টেবিলে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা বা ন্যূনতম ইঙ্গিত এই নিবন্ধে নেই। বরং সামরিক উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গবেষণা করতে ২০২১ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই সাত বছরের জন্য আট বিলিয়ন ডলারের তহব্লি গঠন করা হচ্ছে। যা বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বেশি। এই গবেষণার অন্যতম কাজ থাকবে রাশিয়ার হামলার ধরন, কৌশল, হামলার গভীরতা, দুর্বলতা মূল্যায়ন করে এর পাল্টা কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং কঠিন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। এর প্রাতিষ্ঠানিক নাম হচ্ছে ‘এ নিউ কম্পাস ফর ইইউ সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স।’

এই কম্পাস মূলত চারটি পয়েন্টকে নির্দেশ করবে। এগুলো হচ্ছে
১. অ্যাক্টস : যার প্রধান কাজ হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সক্ষমতা ও দুর্বলতাকে ম্যানেজমেন্ট করা।

২. সিকিউর : সিকিউর হচ্ছে হুমকি, সম্ভাব্য হামলা, নানাবিধ আশু বিপদ অনুমান করার সক্ষমতা অর্জন ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৩. ইনভেস্ট : কী ধরনের প্রযুক্তি ও সক্ষমতা প্রয়োজন সেটার অনুসন্ধান করা।

৪. পার্টনার : ইইউ ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কৌশলগত ও অভিন্ন স্বার্থ রক্ষায় পরস্পরের সহযোগিতা নিশ্চিত করা।

বৈশ্বিক সাইবার আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা বিধান, ইইউ ও ন্যাটোর সমন্বয়ে একত্রে কতগুলো সৈন্যের দল থাকবে, কত দ্রুত বিভিন্ন স্থানে সৈন্য মোতায়েন করে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিতে হবে- এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই নিবন্ধে।

পুরো নিবন্ধটি মূলত পাল্টা হামলার এক মহাপরিকল্পনা। এতে অনুমান করা যায়, ইউরোপ বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গা থেকে রাশিয়ান ফেডারেশনের সাথে আপাতত কোনো শান্তি আলোচনায় আসার কথা ভাবছে না। এছাড়া বাইপোলার গ্লোবাল অর্ডারকে তারা অভিন্ন হুমকি মনে করছে।

কিন্তু রুশ ফেডারেশন ইউরোপ নিয়ে কি ভাবছে? এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। রুশ ভিত্তিক থিংকট্যাংক পিআইআর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের একটা বক্তব্য উদ্ধৃত করে নোটিশ করে রেখেছে। এই বক্তব্যটা রাশিয়ার অবস্থান পরিষ্কার করে দেয়।

‘আমরা প্রতিবেশী। রাশিয়া বৃহত্তর ইউরোপের অংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউরোপীয় মহাকাশের প্রধান খেলোয়াড়, তবে এটি সমগ্র ইউরোপ নয়- ইইউ নেতারা এই শব্দটি যেভাবে বলুক না কেন। সাধারণ ইতিহাস প্রমাণ করে যে ইউরোপ কখনই একটি দৃঢ়, নিরাপদ, স্থাপত্য তৈরি করতে পারেনি। রাশিয়াকে ক্ষুব্ধ করে বা সমীকরণ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মহাদেশে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারেনি। অনেক রাজনীতিবিদ এটা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন। আমি নিশ্চিত যে তাদের কোনো পরিকল্পনাই কাজ করবে না।’

এদিকে আগামী ১২ ও ১৩ অক্টোবর ২২, ন্যাটোভুক্ত ৩০ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ন্যাটো সদর দফতর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে আলোচনায় বসছেন। হয়তো মাদ্রিদ সামিটের ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে কঠিন কোনো পদক্ষেপ নেবে। রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল সংযুক্তি বিষয়ে উত্তেজনাকর বাক্যালাপ আর নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা আসা ছাড়া তেমন কোনো কার্যকর কিছু হবে বলে মনে হয় না।

রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের পর থেকে ইইউ ও ন্যাটো প্রধানেরা কয়েক ডজন মিটিং করেছেন। সেখানে কেবল নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা, অর্থ ও অস্ত্র সহযোগিতা ছাড়া ইউক্রেনের পক্ষে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। আবার শান্তি আলোচনার কোনো অ্যাজেন্ডাও কোনো মিটিংয়ে ছিল না।

ইইউ পলিসি সেন্টারের নিবন্ধটি গভীরভাবে এনালাইসিস করলে মনে হতে পারে আগামী বিশ্বব্যবস্থার মূল সেন্টার আমেরিকা থেকে ইউরোপের দিকে নিয়ে আসার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ দরকার।

দীর্ঘমেয়াদের যুদ্ধ রাষ্ট্রের সকল রিসোর্সকে লম্বা সময়ের জন্য অনিশ্চিত অথবা একেবারে ধ্বংস করে দেয়। রাশিয়াকে তাই দীর্ঘমেয়াদের যুদ্ধ ফাঁদে ফেলে তার সকল সম্পদ ধ্বংস করে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। পুতিন এই যুদ্ধে তেমন কোনো সাফল্য দেখাতে না পেরে কৌশলগত গণভোটের আশ্রয় নিয়ে চারটি রাজ্য জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক, দোনেৎস্ক রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত করে রুশ নাগরিকদের ভেতর রুশ জাতীয়তাবাদকে জাগ্রত করার চেষ্টা করছেন। যদিও ওই অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ আর ভোটের ফলাফলের মধ্যে বেশ অমিল লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ইইউ অন্য যেসব এজেন্ডাকে গুরুত্ব দিয়েছে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হলে রাশিয়া ইউক্রেন ইস্যুতে একটা ফয়সালায় আসার প্রেক্ষাপট অপরিহার্য। অথচ ইইউ সেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিজয় ছাড়া আর কিছুই ভাবতে চাচ্ছে না।

দুনিয়ার বেশিরভাগ মিডিয়াতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি আর জয়-পরাজয়ের ভারসম্য নিয়েই বিস্তর আলাপ চলছে। এটা ঠিক যুদ্ধের জয়-পরাজয় ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়। তবে যে যুদ্ধ বিশ্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বদলে ফেলার জন্য শুরু হয়েছে সেটাকে অপরাপর যুদ্ধের সাথে মেলানো যাবে না।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই বন্ধ হবে বা কবে নাগাদ বন্ধ হবে- এটা আগাম বলার চেষ্টা করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। আকস্মিক কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনা ছাড়া এ যুদ্ধটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com