কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বাড়ানো অসৎ ব্যবসায়ীদের দায় নেবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন, আমদানি, মজুদ, সরবরাহ ও সামগ্রিক দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ সভা করে এফবিসিসিআই।
সভায় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘রমজান মাস ইবাদতের মাস। আপনারা সারা বছর ব্যবসা করেন, রমজান মাসেও করবেন। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে উৎসব উপলক্ষে ছাড় দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও তেমন হতে হবে। আপনারা রমজান মাসে ন্যায্য লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এ বিষয়ে সতর্ক আছেন। তাই এই দিক সবাইকে সাবধান হতে হবে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘রমজানে বাজার মনিটরিং পুলিশ দিয়ে করানো হোক, তা চাই না। বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিটরিং করলেই হয়। আপনারা (ব্যবসায়ী) এটা না করলে সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। এটা আমরা চাই না। অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কোনো কথা বলবে না।’
তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাপ্লাই চেইনে ঘাটতি হলে কৃত্রিম সংকট তৈরি হবে। এটা যেন না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে সবাইকে। ব্যবসায়ীরা লাভও করে, লসও করে। তবে এই লাভটা যেন ন্যায্য হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘পথে চাঁদাবাজির শিকার হলে আমাদের জানাবেন। আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আলাপ করব।’
মতবিনিময় সভায় শ্যামবাজার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে মুড়িকাঁটা পেঁয়াজ আসবে। তখন পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে।’