পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় টিউশনিতে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনের খুনের ঘটনায় জড়িতরা এখনো অধরা। এতে ক্ষোভে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বংশাল থানা ঘেরাও করে আগুন জ্বালান বিক্ষুব্ধরা। এর আগে রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। রাত ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত তারা তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে রাত ১১টার দিকে ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয়। এদিন আরমানিটোলার নূরবক্স রোড়ের নিজ বাসা থেকে তাকে পুলিশ প্রটোকলে গাড়িতে তোলা হয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
এর আগে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে খুনের শিকার জোবাইদ হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয় পুলিশ।
জানা যায়, জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।
গত এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসেন পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে ফিজিক্স, ক্যামেস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন। ওই ছাত্রীর বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন।
এদিন আনুমানিক বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় খুন হন জোবায়েদ হোসেন। বাসার নিচ তলার সিড়ি থেকে তিন তলা পর্যন্ত সিড়িতে রক্ত পড়েছিল। তিন তলার সিড়িতে তাকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ আসে ওই বাসায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লালবাগ জোনের ডিসি এসে ছাত্রীর পরিবার ও বাসার অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।