বুধবার, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
মধ্যপ্রাচ্যে ১৭, বাংলাদেশ ১৮ ফেব্রুয়ারি রোজা শুরু হতে পারে ‘জুলাই সনদ ও সংস্কার হলে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এনসিপি’ ন্যায্য সমাধান করা হবে, আন্দোলনের প্রয়োজন নেই: ফাওজুল কবির আফগানিস্তানে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত কমপক্ষে ২৫ শেখ হাসিনাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান, ভূতের মুখে রাম নাম : অ্যাটর্নি জেনারেল ‘স্যার সময়মতো ক্লাসে আসেন না’ বলায় ৩৩ ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক পলক-আনিসুল-সালমান-কামরুলসহ ৬ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সীমানা পুনর্নির্ধারণে ইসিতে শেষ দিনের শুনানি চলছে ১৮ হলের ১৩ পদে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ অপকর্মের মাফিয়া ‘ব্যাডবয়’ আফ্রিদি

বরিশালে মোবাইল দেখে তারাবি নামাজে ইমামতি, হাফেজকে বহিষ্কার

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩
  • ১১৯ বার পঠিত

বরিশাল নগরীর একটি মসজিদে মোবাইল দেখে তারাবি নামাজ পড়ানোয় মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ওই হাফেজকে বাদ দিয়েছে। পরে নতুন একজন হাফেজ নামাজ পড়ানো শুরু করেছেন।

বরিশাল নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন রোডের বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদে এমনই ঘটনা ঘটেছে। মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাফেজ জাকির হোসেন মোবাইল ফোন দেখে দেখে তারাবি নামাজ পড়ান। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে মসজিদ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়।

বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদের একজন মুসল্লি বলেন, ‘বিষয়টি দ্বিতীয় রমজানের রাতে তারাবি নামাজের সময় অনেকেরই চোখে পড়ে। পরে তৃতীয় রমজানের রাতে হাফেজ জাকির হোসেনের মোবাইল দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর দৃশ্য কেউ কেউ ভিডিও করেন। ভিডিওটি সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। পরে ওই হাফেজকে তারাবি নামাজ পড়ানো থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাফেজ জাকির হোসেন ওই মসজিদের ইমাম ফারুকের নিজস্ব মাদরাসার একজন শিক্ষক। তাই তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের ক্ষেত্রে তাকে প্রাধান্য দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম ফারুক বলেন, ‘হাফেজের মোবাইল দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর বিষয়টি সত্যি। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো স্বজনপ্রীতি করা হয়নি। হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে ৮-১০ জন উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে মেধার মূল্যায়নে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।’

বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার মিল্টন চৌধুরী জাগো বলেন, ‘তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে মসজিদ কমিটির কেউ ছিলেন না। মসজিদের ইমাম ও এলাকার বড় একটি মসজিদের ইমাম মিলে ইন্টারভিউ নিয়ে হাফেজ ঠিক করা হয়েছিল। পরে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জেনে ওই হাফেজকে বাদ দিয়ে অন্য একজন হাফেজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com