দীর্ঘ ৭০ বছর পর বড়সড় পরিবর্তন এলো মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার সিলেকশন প্রক্রিয়ায়। এত দিন পর্যন্ত শুধুমাত্র অবিবাহিতরাই অংশগ্রহণ করতে পারতেন এই প্রতিযোগিতায়। এবার প্রক্রিয়াতে পরিবর্তন আনলেন এই প্রতিযোগিতার কমিটিতে থাকা সদস্যরা। আগামী বছর থেকেই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বিবাহিত নারীরাও, এমনকি মায়েরাও। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকায় ওই সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয় যে সময়ের সাথে সাথে সবকিছুরই পরিবর্তন ঘটে। এটা তারই অংশ। এই সিদ্ধান্তটা সময়ের নিরিখে খুবই স্বাভাবিক একটা সিদ্ধান্ত। তবে তাদের এই সিদ্ধান্ত যে যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক তা একবাক্যে স্বীকার করেছেন গোটা ফ্যাশন দুনিয়া।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৭২তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রযোজ্য হবে এই নিয়ম। যেখানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বিবাহিতরাও। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার আয়োজকরা জানিয়েছেন যে ‘আমরা বিশ্বাস করি, যেকোনো নারীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত যেন তার জীবনের সাফল্যে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।’
ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ২০২২ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া।২০২২ সাল পর্যন্ত একমাত্র ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী অবিবাহিত নারীরাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারত। সন্তানের মায়েরা তো দূরঅস্ত, বিবাহিত বা ডিভোর্সড হলেও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার নিয়ম ছিল না। এবার ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী যেকোনো নারীই হতে পারেন মিস ইউনিভার্স। তবে বয়সের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা এখনো জানায়নি মিস ইউনিভার্স কতৃর্পক্ষ। মিস ইউনিভার্সের পাশাপাশি নিউইয়র্কের এই সংস্থা আয়োজন করে মিস ইউএসএ ও মিস টিন ইউএসএ প্রতিযোগিতা।
১৯৯৪ সালে ভারত পেয়েছিল তার প্রথম মিস ইউনিভার্স। বিশ্বের মঞ্চে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন বাঙালি কন্যা সুস্মিতা সেন। এরপর ২০০০ সালে মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতেন লারা দত্ত। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর পর চলতি বছর ভারত পেল তার তৃতীয় মিস ইউনিভার্স হরনাজ সান্ধু। এবছর ইসরাইলে বসেছিল মিস ইউনিভার্সের আসর। ২১ বছর বয়সী হরনাজের জন্ম পাঞ্জাবি পরিবারে। চন্ডীগড়ের মেয়ে পেশায় মডেল, ফিটনেস লাভার ও যোগ ব্যায়ামে পারদর্শী।
সূত্র : জি নিউজ