সোমবার, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

২০২৫ সালে ভারত-পাকিস্তানের পরমাণু যুদ্ধ, ভবিষ্যদ্বাণী ২০১৯ সালে

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
  • ২৪ বার পঠিত

পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের কয়েকটি শহরে মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

২০২৫ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুদেশের উত্তেজনা পরামাণু যুদ্ধের দিকে কি এগিয়ে যাবে? অবশ্য এমন একটি ভবিষদ্বাণী ২০১৯ সালেই একটি গবেষণায় উঠে আসে। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সেই গবেষণায় বলা হয়েছে, কাশ্মীর বিরোধের জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটবে।

আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, এর ফলে জলবায়ুর ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়বে তাতে অনাহারে মারা যাবে আরো বহু কোটি মানুষ। এরকম এক বিপর্যয়ের ধারণা দিতে গিয়ে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দুটো দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। এক গবেষণায় এসব আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবিসির রিপোর্টে এই যুদ্ধ লাগার পেছনে কয়েকটি দৃশ্যের কথা বলা হয়েছে। যার একটি চলমান কাশ্মীর সহিংসতা। গবেষণায় বলা হয়, কাশ্মীরে আক্রমণ করবে ভারত। তার পর শুরু হয়ে যাবে পারমাণবিক যুদ্ধ। তবে উভয় দেশে যদি বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন নেতারা ক্ষমতায় থাকেন তাহলে হয়তো এরকম কিছু হবে না। তবে ভিন্ন কিছু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অ্যালান রোবোক, যিনি এই গবেষণার সাথে যুক্ত ছিলেন, বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান তাদের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে। শুধু সংখ্যার বিচারেই নয়, এসব অস্ত্রের বিস্ফোরণের শক্তিও তারা ক্রমাগত বৃদ্ধি করছে। ফলে তাদের আশঙ্কা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেই এই যুদ্ধের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।’

কেন ২০২৫?

গবেষণা প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, ২০২৫ সালেই যুদ্ধে জড়াতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার চির-বৈরি দুটো দেশ: ভারত ও পাকিস্তান। যুদ্ধের এই সময় কীভাবে নির্ধারণ করা হলো? অধ্যাপক রোবোক বলছেন, ভবিষ্যৎ থেকে তারা শুধু একটি বছরকে বেছে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধ যেকোনো সময়ে লাগতে পারে, হতে পারে আগামীকালও। ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোনো তথ্য থাকে না। কখন কী হবে সেটাও কেউ বলতে পারে না। সেকারণে আমরা কিছু দৃশ্য-কল্প ব্যবহার করেছি কী হতে পারে সেটা বোঝার জন্যে। সেই সম্ভাবনার কথা চিত্রিত করতে আমরা শুধু একটা সময়কে বেছে নিয়েছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com