চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ তরুণের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া ছমদিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জিয়াউল হক সজীব, ইকবাল হোসেন মারুফ, রিদুয়ানুল হক চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা নিরু ও সামিরুল ইসলাম হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় ইমামতি করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ অছিয়র রহমান আলকাদেরী। এতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাতের বিভিন্ন সময়ে অন্যদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন শুক্রবার সকালে মাইক্রোবাসে খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে যান। ফেরার পথে দুপুরে মীরসরাই উপজেলার ১২ নম্বর খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের ঝরনা এলাকার রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় ১১ জন মারা যান। তারা হলেন- হাটহাজারী উপজেলার আজিম সাবরেজিস্ট্রার বাড়ির হাজি মো. ইউসুফের ছেলে মাইক্রোবাস চালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬), চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৭), একই ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে জিয়াউল হক সজীব (২২), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী (২২), পারভেজের ছেলে সাগর (১৭) ও একই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ (১৭), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিসাম (১৬), আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তাসমির হাসান (১৭), মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৭), ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খান বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯)।
এদিকে এ দুর্ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় গেটম্যানের অবহেলাকে দায়ী করে তাকে আসামি করা হয়েছে। গেটম্যান সাদ্দাম বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।