সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের মধ্যে বৈঠকের পর কিয়েভ বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে তাৎক্ষণিক ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে নিতে প্রস্তুত ইউক্রেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘তিনি এই প্রস্তাব রাশিয়ার কাছে উপস্থাপন করবেন কারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব এখন তাদের হাতেই ন্যস্ত।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বললেন, ‘এখন রাশিয়াকে ‘ইতিবাচক’ এই প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার বিষয়ে রাজি করানোর দায়িত্ব নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।‘
ওভাল অফিসে জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার জেদ্দায় ছিল এই দুই দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক আলোচনা বৈঠক।
যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন বৈঠকের আগে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক। ছবি: রয়টার্স
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইউক্রেনের ওপর সামরিক সহায়তা স্থগিত করার পর গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহও বন্ধ করে দেয় ওয়াশিংটন।
তাই এবার এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা অবিলম্বে ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি এবং নিরাপত্তা সহায়তা পুনরায় চালু করবে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন উভয় দেশই তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় প্রতিনিধিদল তাদের আলোচক দলের নাম ঘোষণা করতে এবং ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এমন একটি স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জেদ্দায় এক সংবাদ সম্মেলনে রুবিও বলেন, ‘তিনি আশা করছেন যে, রাশিয়াও এই প্রস্তাব মেনে নেবে।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন গোলাগুলি বন্ধ করে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হয়েছে। তবে, রাশিয়া যদি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাহলে দুর্ভাগ্যবশত আমরা বুঝতে পারব যে, এখানে শান্তির পথে বাধা কী ছিল।’
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসেছেন রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। ছবি: বিবিসি
রুবিও আরও বলেন, ‘আজ আমরা একটি প্রস্তাব দিয়েছি, যা ইউক্রেনীয়রা গ্রহণ করেছে। এটি হলো যুদ্ধবিরতিতে প্রবেশ করা এবং তাৎক্ষণিক আলোচনায় অংশ নেওয়া। আমরা এখন এই প্রস্তাবটি রাশিয়ার কাছে নিয়ে যাব এবং আমরা আশা করি তারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় হ্যাঁ বলবে। কারণ বল এখন তাদের কোর্টে।’
উল্লেখ্য, এর আগে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে গতকাল মঙ্গলবারের আলোচনায় কিয়েভের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌ ও আকাশপথে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার সংবাদটিও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেশ ফলাও করে প্রকাশ পায়।