আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ মঙ্গলবার বলেছে, বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হচ্ছে এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আইএমএফ বলছে, তারা বিশ্বব্যাপী গত বছরের ৬.১ শতাংশ অগ্রগতি থেকে এই বছর ৩.২ শতাংশ মন্থর হবে বলে আশঙ্কা করছে, যা এপ্রিলের পূর্বাভাসের চেয়ে শতাংশের চার-দশমাংশ কম।
আইএমএফ বলছে, ২০২১ সালের অস্থায়ী পুনরুদ্ধারের পর ২০২২ সালেও ক্রমবর্ধমান হতাশাজনক উন্নয়নের ধারায় অব্যাহত রয়েছে, কারণ ঝুঁকিগুলো বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে। এছাড়া চীন এবং রাশিয়ার মন্দার কারণে এই বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৈশ্বিক উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে, ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের ব্যয় প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থাটি বলছে, বেশ কিছু বড় বড় ধাক্কা বিশ্ব অর্থনীতিতে আঘাত করেছে, এরমধ্যেই আবার মহামারীর আঘাতে সেটি আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে, অনুমানের চেয়ে বিশ্বব্যাপী অধিক মূল্যস্ফীতি ঘটেছে- বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রধান ইউরোপীয় অর্থনীতিগুলিতে। এর ফলে কঠোর আর্থিক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এছাড়া কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব এবং লকডাউনের কারণে চীনে যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল তার চেয়েও মারাত্মক মন্দার দেখা দেয়। সেই সাথে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে আরো নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আইএমএফ বলেছে, সারা বিশ্বে ভোগ্যপণ্য, বিশেষ করে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ছে। এই বছর অগ্রসর অর্থনীতিতে খরচ ৬.৬ শতাংশ বাড়বে। এছাড়া উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে ৯.৫ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। উভয় পরিসংখ্যান আইএমএফের আগের অনুমান থেকে প্রায় এক শতাংশ পয়েন্ট বেশি।
আইএমএফ বলছে, ঝুঁকিগুলো অত্যধিকভাবে নেতিবাচক দিকেই ঝুঁকছে।
আইএমএফ বলেছে, বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার মানকে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি যেভাবে সংকুচিত করছে, তাই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা নীতিনির্ধারকদের জন্য প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।