আমি এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদি কন্ঠকে শুরুতেই শ্রদ্ধা ভরে অনুসরন করছিলাম, প্রতিবাদের প্রতি কর্মদেশ ইতালী থেকে শতভাগ সমর্থন থাকলেও সরকারকে তেল মালিশ করে যে সরকারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কার্যকর ভুমিকায় আশার আলো দেখায় না সে আত্মবিশ্বাস ছিল। তাই রনি হয়ত সে ভাগ্যবরনের পথেই হাটছে।
একা থেকে একাধিক প্রতিবাদি কন্ঠ যখন একাত্মতা প্রকাশ করতে শুরু করতেছিল ঠিক তেমন সময় মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসুরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জননেত্রীর তোয়াক্কা প্রতিবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে শুরু করেছে বলে নানা গনমাধ্যম মত প্রকাশ করেছে। প্রতিবাদ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৈল মর্দন নয়। প্রতিবাদ হবে টিকিট কালোবাজারির বিরুদ্ধে সেখানে রেল বিভাগ একটা মন্ত্রনালয়ের অধিনে, যা সরকারের একটা বৃহত অংশ। সেখানে শিকল পরে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সরকারের তোসামোদি আন্দলনে যেমনটা সুফলের মুখ দেখবে না তেমন রনি আন্দলনের ব্যার্থতা নিয়ে নিজে একটা নেকজিশনের মধ্য দিয়ে হয়ত ঘরে ফিরে যাবেন।কাদবে জনগন কাদবে আন্দলন;
গতকাল ট্রাস্ট বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ হুইল চেয়ারে বসে লুংগি পরে রনির যৌক্তিক দাবিকে সমার্থন করতে গিয়েছিলেন চার ঘন্টা কলাপ্সাবল গেটের কাছে ধর্না দিয়েও আলোচনা না করে ব্যার্থ হয়ে ফিরে এলেন। নুরু জুনায়েদ সাকিরা জাফরুল্লার পাশে দারাতে গিয়েও রনির আচরন দ্বৈততায় ক্ষুদ্ধ হয়ে লাইভের মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন।
কথায় বালে “রাজার জন্য রাজ্য নষ্ট প্রজা কষ্ট পায়” রাষ্ট্রের সকল দায় ভার নিয়েই সরকার তাই দুর্নীতি অন্যায়ের দায়ভার সরকারের উপর বর্তায়। সে ক্ষেত্রে রনি সরকারের তোষামোদ করে তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ কিভাবে সফলতার মুখ দেখাবে সেটাই জনমানুষের মনে প্রশ্ন।
রেল বিভাগ এখন প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও শক্তিশালি যা প্রমান করে আওয়ামী লীগ অফিস ধানমন্ডিতে রনির অবস্থান। রনি বিষয়টা কোন রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে যাতে না হয় সে কথা বলে নুর এবং জোনায়েত সাকিদের প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু তা হলে আজ ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ অফিসে ধর্না দেয়ায় জনগন কি ভেবে নিবে?
দেশ এবং দেশের প্রতিটা অঙ্গ প্রতঙ্গ রাজনীতি দিয়ে ঘেরা সে ক্ষেত্রে রাজনীতিক প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলায় যে সুফল আসত তা হয়ত রেল নির্ভরশীল জনগনের একটু স্বস্তির নিশ্বাস দিত। রনির প্রতিবাদ প্রথম ক্ষোভ আবেগ হলেও এখন তা ভিন্ন দিকে প্রভাবিত হচ্ছে বলেই সকলের ধারনা আর এমনটাই মনে করছে নানা গন মাধ্যম।
রেলের দুর্নীতির সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালি যে প্রথম থেকে প্রধানমন্ত্রীর দোহাই দেয়া আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীর এখন চূড়ান্ত পর্যায় প্রধানমন্ত্রীর উপর নির্ভরশীল। এতে রনি বনাম রেল বিভাগ বর্তমান যে টানা পোরান চলছে তাতে আন্দোলন প্রতিবাদের কাছে রেল বিভাগের দুর্নীতি শক্তিশালি।
এই শক্তির উৎস কোথায়? যেজন্য দীর্ঘ দিন পেরিয়ে যাওয়া আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীর কর্নগোচর হয় নাই বিষয়টা ঠিক এমন নয়। আর রনিত সে দোহাই দিয়ে প্রতিবাদ করে যাচ্ছে তার পরেও যেহেতু রেল মন্ত্রনালয় প্রতিবাদের গুরুত্ত্ব না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মত না শুনার পথেই হাটছেন তাতে প্রমান করে সবই একই সুত্রে গাথা আর এ জন্যই রাজনীতিতে জরিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে রনির পি এম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
আন্দোলন করতে গিয়ে প্রায় সময়ই রনির রাজনৈতিক পরিচয় মুক্তিযোদ্ধার নাতী পরিচয় কিংবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক পরিচয়ে রেল দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়েছে।
বাংলাদেশে আন্দোলন করতে হলে এ সব দোয়া না পরে দারানো যাবেনা তাই যারা এ সব দোয়া মুখস্ত করেছেন তারা দুর্নীতি করে কোটিপতি বনে গিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ কিংবা বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতির ব্রান্ড নয়, আদর্শকে দুর্নীতির ব্রান্ড বানিয়ে ফয়দা লোটা উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হলেও ভোগবে সাধারন মানুষ। রনিদের ফাদে ফেলে আদর্শ থেকে দূরে রাখা এবং টোপে পরা হবে জাতীর দুর্ভাগ্য।
আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছুদিন আগে যে ভদ্রলোক কমলাপুর গিয়ে সরকারের ভাবমুর্তি দেশ বিদেশে নষ্ট না করার জন্য যে দোয়া নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এর পরেও রনির বুঝে না আসায় তাকে ব্যার্থতার দায় ভার নিয়ে ঘরে আসার সম্ভাবনাই দেখছি। রনি প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারক্লিপি দিতে না দিতেই নাটকের মোর রেল কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রন। সে বৈঠকে ৬/দফা বাস্তবায়ন নয় রেল কর্তৃপক্ষের মাসিক মিটিং এ রনি সহ তাদের তিনজনের প্রতিনিধিদল অংশ গ্রহন করতে পারবেন।
বাংলাদেশটাকে পলিটিশিয়ানরা যেহেতু গিলে ফেলেছে তাই ভাগ বাটয়ারা পলিটিক্যাল ইসুতেই মোকাবেলা হওয়া ইচিত ছিল বলে মনে করেন সাধারন জনগন।
মিজানুর রহমান মুন্সী
ইতালি