লেস্টার সিটি থেকে ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন হামজা চৌধুরী। এবার ক্লাবটির জার্সিতে তার অভিষেকও হলো। যেখানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাবটির হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আলো ছড়ালেন। ম্যাচসেরার স্বীকৃতিও পেয়েছেন।
শনিবার রাতে ডার্বি কাউন্টির মাঠ প্রাইড পার্ক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ১–০ ব্যবধানে হারিয়েছে শেফিল্ড। ৪৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেছেন চিলির ফরোয়ার্ড বেন ব্রেন্টন দিয়াজ। এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়েই রইল শেফিল্ড। যেখানে চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ দুই দলের সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে উত্তরণ হয়। তার মানে, এই অবস্থান ধরে রাখতে পারলে আগামী মৌসুমে আবারও প্রিমিয়ার লিগে খেলবে শেফিল্ড।
হামজা এদিন পুরো ৯০ মিনিট দলের রক্ষণভাগ আগলে রেখে ও সতীর্থদের বলের জোগান দিয়ে আস্থার প্রতিদান দেন। ২৭ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় অভিষেকে কতটা দাপট দেখিয়েছেন,সেটা তার পারফরম্যান্সের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। ম্যাচে বল স্পর্শ করেছেন ৬১ বার, ড্রিবলে শতভাগ সফল, নিখুঁত পাস বাড়িয়েছেন ৮০ শতাংশ, লম্বা করে বল বাড়ানোর চেষ্টায় সফল হয়েছেন চারবার, গ্রাউন্ড ডুয়েলে জিতেছেন পাঁচবার, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়েছেন তিনবার, ইন্টারসেপশন (প্রতিপক্ষের পাস দেওয়া বল আটকে দেওয়া) করেছেন দুবার। বিপরীতে ডার্বি কাউন্টির কোনো খেলোয়াড় হামজাকে ট্যাকল বা ড্রিবল করতে পারেননি।
ম্যাচ শেষে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বেছে নিতে শেফিল্ড ইউনাইটেডের এক্স পেজে ভোটও চাওয়া হয়েছিল। সেখানে ৭০.৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজার পক্ষে। তার বল নিয়ে ছোটার একটি ছবি পোস্ট করে শেফিল্ড লিখেছে, ‘অভিষেকেই পিওটিএম (প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ) পারফরম্যান্স।’
হামজাকে পরে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার, ‘হামজা হামজার মতোই খেলেছে। বেশ কিছু ধরে সে কোনো ধরনের ফুটবল খেলেনি। এরপরও মাঠে প্রতিটি ভূমিকায় সে চেনা ছন্দে ছিল। আমি ওকে নিয়ে আলোচনা করছিলাম, ভেবেছিলাম ৭০ মিনিট পর তুলে নিব। কিন্তু ওই সময় সে এতটা ভালো খেলছিল যে সেটা আর করা হয়নি।’
এদিকে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ৩০ ম্যাচ শেষে শেফিল্ডের পয়েন্ট ৬১, শীর্ষে থাকা লিডস ইউনাইটেডের ৬৩। শেফিল্ডের পরের ম্যাচ আগামী শনিবার পোর্টসমাউথের বিপক্ষে।
আগামী মার্চে সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হবে হামজা চৌধুরীর।