টানা আট জয়ে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স। হঠাৎ করে সেই দলটিই দেখল মুদ্রার উল্টো পিঠ। টানা তৃতীয় ম্যাচে হারল নুরুল হাসান সোহানের দল। আজ বুধবার চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৫ উইকেটের হার দেখল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এই হারে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান থেকে দুইয়ে নেমে গেল রংপুর। আর সবার ওপরে উঠে গেল টানা জিততে থাকা ফরচুন বরিশাল।
১০ ম্যাচে ৮ জয় ও ২ হারে ১৬ পয়েন্ট বরিশালের। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট রংপুরেরও। তবে রান রেটে পিছিয়ে তারা। এদিকে, রংপুরকে হারিয়ে রাজশাহীকে চারে ঠেলে তিনে উঠে এল চিটাগং। দলটি পৌঁছে গেল প্লে-অফেও। ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট তাদের। আর ১২ ম্যাচ খেলা রাজশাহীর সমান পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে তারা।
আজ চিটাগংয়ের জয়ে সিলেটের পর বিপিএল থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো ঢাকা ক্যাপিটালসেরও। রংপুর-বরিশালের প্লে অফ নিশ্চিত হয়েছে আগেই। আজ উঠে গেল চিটাগং। চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফের লড়াই এখন রাজশাহী ও খুলনার। যদিও রাজশাহীর সুযোগই বেশি। প্লে-অফ খেলতে পরের দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে হবে খুলনাকে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে রংপুর। ছোট এই রানের জবাব দিতে নেমে ১৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য পেরিয়ে যায় চিটাগং।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৯ রান তুলতে লাহিরু মিলান্থা ও গ্রাহাম ক্লার্ককে হারায় চিটাগং। তবে দ্রুতগতিতে রান তুলতে না পারলেও দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে উদ্ধার করেন মোহাম্মদ মিথুন ও পারভেজ হোসেন ইমন। দলীয় ৬৩ রানে মিথুন (১৫ বলে ২০) আউট হলেও ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করা ইমন টিকে ছিলেন দলীয় ১০৬ রান পর্যন্ত। যখন থামেন, তখন তার নামের পাশে ৪৩ বলে ৪১ রান।
চট্টগ্রামের জয়ের মূল নায়ক পাকিস্তানি তারকা হায়দার আলী। মাত্র ১৮ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১টি চার হাঁকানো হায়দার সীমানা দঁড়ির ওপর দিয়ে বল পাঠান ৬ বার। বাউন্ডারি থেকেই আদায় করেন ৪০ রান।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এক ইফতিখার আহমেদ ছাড়া রংপুরের হয়ে বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। ৪৭ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রান করেন তিনি। যদিও রানের গতি না বাড়ার পেছনে তার এই ইনিংসের দায়ও কম না। এর বাইরে রংপুরের হয়ে দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন কেবল সৌম্য সরকার (১৭ বলে ২৩) ও শেখ মেহেদী হাসান (২০ বলে ২২*)।