বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের সাবেক সাংসদ জননেতা এম. জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন, আমাদের নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারনে আমরা শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার জুলাই আগষ্টের গনঅদ্ভুত্থানের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদের প্রধান নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি।
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন আমলে আমাদের দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী নির্যাতিত হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে। আমি নিজে এই আন্দোলন সংগ্রামে নির্যাতিত হয়েছি, অসংখ্য বার জেল খেটেছি। শেখ হাসিনার সরকার আমার বিরুদ্ধে ভয়ানক ভয়ানক অভিযোগ হাজির করেছে। যদি শেখ হাসিনার সরকার যদি টিকে যেত, তাহলে বাংলাদেশের পাঁচটা লোককে ফাঁসি দিত। তার মধ্যে আমি একজন।
শুক্রবার সকালে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সদরের সরকারি গৌরনদী কলেজ মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গৌরনদী-আগৈলঝাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও গৌরনদী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ধারাবাহিক ভাবে অনুষ্ঠিত পৃথক পৃথক আলোচনা সভা শেষে শুক্রবার সকাল ১০টায় সরকারি গৌরনদী কলেজ মসজিদ মাঠে এ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনাকে যদি আমরা পালিয়ে যেতে বাধ্য করে থাকি, তা হলে রাজধানী শহরের যে সমস্ত গুন্ডারা, বিভিন্ন জেলা শহরে শেখ হাসিনার যে সমস্ত মাস্তান, আর বিভিন্ন উপজেলা শহরে হারিছ মার্কা যে সমস্ত চামচা, তাদের নিয়ে কি কথা বলার দরকার আছে। যারা বাঘ শিকার করে, তারা তেলা পোকা নিয়ে কথা বলেনা। এর পরেও দেশের প্রশাসন পুলিশ আইন-আদালত গোয়েন্দারা, তাদের দায়িত্ব, তেলা পোকাতো তেলা পোকা ছাড়পোকাকেও ছাড়া হবেনা। আমরা আইনের উপর বিশ্বাস করি। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন জনতার আদালত ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। রাষ্ট্র চলে আইন আদালতের মাধ্যমে। অতএব মাঝখানে আমরা কোন আইনের ঊর্ধ্বে কোন দায়িত্ব নিতে চাই নাই, চাই নাই বলেই এই গৌরনদীর সন্ত্রাসীদের অনেকের বাড়ি ঘর বিক্ষুব্দ জনতারা পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। স্থানীয় বিএনপির বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দরা দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে করুনা করেছে। তাদের জীবনকে ভিক্ষা দিয়েছে। লজ্জ্ াহয়না, এই গৌরনদীর মাটিতে যারা আমার নেতা-কর্মীদের উপর ঔধ্যত্ব পূর্ন আচরন করেছো, নেতা-কমীদের হাত-পা ভেঙ্গেছো, বাড়িঘর একাট করেছো। আজকে যদি আমার মুকুল খান সরোয়াররা তুড়ি মারে তিন প্রজন্ম জেল খানায় থাকতে হবে।
বিএনপির সকল ত্যাগী নেতাদের তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমান যেভাবে দল চালাতে চেয়েছেন তারা সেই ভাবেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সরোয়ার আলম বিপ্লরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল (উত্তর) জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মিজানুর রহমান খান মুকুল। সাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ জাহির সাজ্জাদ হান্নান অগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ কবির হোসেন তালুকদার, সদস্য সচিব মোল্লা বশির আহাম্মেদ পান্না, গৌরনদী পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শরীফ শফিকুর রহমান স্বপন, সদস্য সচিব মোঃ ফরিদ মিঞা প্রমুখ।