বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোতয়ালী মডেল থানার এএসআই সানোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২৫/৩০ জনের একটি কিশোর দল উত্তেজিত হয়ে থানায় প্রবেশ করে। তাদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা থানার মধ্যে একটি পিকআপের গ্লাস ও পুলিশের মোটরসাইকেলের গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে তারা থানার অভ্যর্থনা কক্ষের সোফা এবং টেবিল ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এ সময় তারা চিৎকার চেচামেচি করে পুলিশের উদ্দেশ্যে গালাগালি করতে থাকে। খবর পেয়ে দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা এবং ওসি এসে তাদের শান্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হঠাৎ করে কিছু কিশোর গালাগালি করে কোতয়ালী মডেল থানার দিকে যায়। এ সময় লাইন রোড দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে তাদের শান্ত করে।
থানার অভ্যর্থনা কক্ষে বসে থাকা সিফাত নামে এক কিশোর বলেন, তারা বরিশাল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। কিছুদিন আগে নগরীর ফকির বাড়ী রোডের রাখাল বাবু পুকুরের পাড় এলাকার হৃদয়, সানমুন, আনজামদের সাথে তাদের ঝামেলা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের একজনকে পেয়ে চড় দিয়েছিল। বিষয়টি সমাধান করতে তারা রাখাল বাবু পুকুরের পাড় এলাকায় আসেন। এ সময় তাদের দুই বন্ধুকে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষ। তারা পুলিশের কাছে সহায়তা চায়। কিন্তু তারা না এসে সেনাবাহিনীকে খবর দিতে বলেন। তাই বিচার চাইতে থানায় এসেছেন। এ সময় কয়েকজন উত্তেজিত ছিল।
সিফাতের দাবি, তারা বেল্ট দিয়ে টেবিলে জোরে জোরে আঘাত করেছেন। কোনও ভাঙচুর তারা করেননি।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিছু শিক্ষার্থী এসেছিল। তাদের কথা আমরা বুঝতে পারিনি। তাই তারা উত্তেজিত হয়ে থানার কয়েকটি ফুলের টব ও থানার সামনে থাকা ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
তিনি আরও জানান, পরে জেনেছি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে শহীদ আরজু মনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে ঝামেলা হয়েছিল। বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা করা হয়েছে।