শুক্রবার, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

ইফতারে ভাজাপোড়া ও সেহরিতে চা পান ঠিক নয়

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৫৯ বার পঠিত

রোজায় ভাজাপোড়া খাবার প্রায় সবার প্রিয়। কিন্তু এ এ জাতীয় ইফতারি গ্রহণে অনেক রোজাদার শারীরিক অস্বস্তিতে ভোগেন বলে উল্লেখ করেছে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব রমাদান ফাস্টিং রিসার্চ’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণালব্ধ নিবন্ধ। এতে বলা হয়েছে ভাজাপোড়া, অতিমসলাযুক্ত ও অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণের কারণে অনেকেই রোজা রেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে রোজার পর এদের অধিকাংশই ক্রমান্বয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন। হঠাৎ করে এক সঙ্গে এসব খাবার গ্রহণের ফলে বদহজম, বুকজ্বালা এবং ওজন বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দেয়। রোজা রাখার সময় যাতে অ্যাসিডিটি দেখা না দেয়, তা প্রতিরোধের জন্য আঁশযুক্ত খাবার, শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ জাতীয় খাবার পাকস্থলীর মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণ প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দিয়ে পেটফাঁপা যেমন প্রতিরোধ করে, তেমনি খাধ্যকণা ভেঙে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশে পরিণত করে। ফলে খাবার সহজেই হজম হয়, অ্যাসিডিটি দেখা দেওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়।

উল্লেখ্য, রোজায় বাজারে তৈরি ভাজাপোড়া খাবারের অধিকাংশই ভাজা হয় পুরনো তেলে। একই তেলে বারবার ভাজা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেই তেল থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সৃষ্টি হয়। এসব রাসায়নিক পদার্থ ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থ হিসেবে পরিচিত। ক্যানসারের উদ্রেককারী আরেকটি উপাদান হচ্ছে রঙিন শরবতে ব্যবহৃত কৃত্রিম রঙ। ইফতারের পর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শরীরে সারা দিনের পানিস্বল্পতা এবং শরীর দূষণমুক্ত করতে পানি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে এ নিবন্ধে।

সেহরির পর অনেকেই চা পান করেন। চা অনেক উপকারী- এ কথাও প্রায় সবার জানা। কিন্তু এ নিবন্ধে গবেষকরা সেহরির পর চা পান থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ভিন্ন এক কারণে। গবেষকরা বলছেন, চায়ের মধ্যে ক্যাফেইন থাকে। এ ক্যাফেইন প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে খনিজ লবণ ও পানিস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে। এ পানিস্বল্পতা রোজাদারের জন্য কাম্য নয়। বরং সেহরির পর কলা খাওয়া যেতে পারে। কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট। তবে কলা কারো কারো ক্ষেত্রে কোষ্ঠবদ্ধতা সৃষ্টি করে থাকে। এ ক্ষেত্রে আঁশযুক্ত খাবার খেলে আর কোনো সমস্যা দেখা দেওয়ার কথা নয়। রোজায় সুষম খাবার পরিমাণমতো গ্রহণ করলেই শরীর সুস্থ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সুষম খাবার খেয়ে রোজা রেখে ইফতারের আগে হাত-পা সঞ্চালন জাতীয় হালকা ব্যায়াম এবং সময়মতো নামাজ আদায় করলেই অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা রোজা থেকে ওজন কমানোর সুযোগ পাবেন বলেও উল্লেখ রয়েছে এ নিবন্ধে। রোজার সময় গভীর নিদ্রার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই তারাবি নামাজের পর যতদ্রুত সম্ভব ঘুমাতে যাওয়াই উত্তম।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com