নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টায় এ ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওই কিশোরীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি বাপ্পী বসুরহাট বাজারের মসজিদ মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করেন। তার দোকানে কেনা-কাটা করার সুবাদে তার সাথে ওই কিশোরীর সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে কিশোরীর মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন তিনি। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
পরে কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে, গত ১৬ জুন বাপ্পী তাকে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করার জন্য তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। কিশোরী ভাড়া বাসায় গেলে বাপ্পী ও তার বন্ধু হৃদয় একে অপরের সহায়তায় কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। শেষে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শন করে তারা তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাদেকুর রহমান বলেন, গণধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরীর মা এজাহার দাখিল করেছেন।