ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হচ্ছে না। বন্যায় অন্তত ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে আসামে ৮০ জনের ও মেঘালয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার আসাম ও মেঘালয়ে ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই ১০ জনের মধ্যে আটজন আসামের ও মেঘালয়ের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২ জনের খোঁজ মিলছে না। সব মিলিয়ে আসামে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭০। প্রায় ৩৭ লাখ বাসিন্দা এই বন্যার জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বন্যার জেরে প্রায় ১.৫৬ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। প্রায় ৫১৪টি ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। সেখানে তাদের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যার জেরে ১৭২,৯৯২ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আসামে ৩৭.২ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। বরাক উপত্যকার তিন জেলা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু জায়গায় রাস্তা ও রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই যোগাযোগের জন্য সরকার শিলচর-গুয়াহাটি বিমান পরিষেবা চালু করেছে।
মেঘালয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু খবর মিলেছে। প্রায় ৯৬টি গ্রামের ৪৭ হাজার মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৬টি ত্রাণ শিবিরে ৪২৬২ দুর্গত আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির জেরে বহু রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে কোনও মৃত্যুর খবর নেই। তবে মণিপুরে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস