শুক্রবার, ০১:২৩ অপরাহ্ন, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

পেঁয়াজের পর দেশি রসুনে ঝাঁজ, বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড দামে

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৩৩ বার পঠিত
বাজারে রসুনের কোনো সরবরাহ সংকট না থাকলেও রেকর্ড দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে দেশি রসুন। পাশাপাশি আমদানিকৃত রসুনের দামও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে দেশি রসুনের দাম।

আজ বুধবার রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে দেশি রসুন মানভেদে প্রতিকেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

আমদানিকৃত রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। 

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এটিই দেশের বাজারে দেশি রসুনের সর্বোচ্চ দাম। এর আগে কখনো এতো দামে বিক্রি হয়নি দেশি রসুন।

আজ বুধবার রাজধানীর জোয়ারসাহারা, শ্যামবাজার, বাড্ডা ও মহাখালীর কাঁচাবাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

রসুনের রেকর্ড দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে আমদানিকারক ও পাইকারি শ্যামবাজার পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশে এবার রসুনের উত্পাদন খুবই কম হয়েছিল। এ বছর দেশের বাজারে চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ রসুন উত্পাদন হয়েছে। যার কারণে ভারত ও চায়না থেকে ব্যাপকভাবে আমদানি করতে হয়েছে। এ দুটি দেশেও এখন রসুনের দাম বেড়ে গেছে।

মূলত এসব কারণেই এবার রসুনের দাম বাড়তি।’ 

আব্দুল মাজেদ আরো বলেন, ‘আজ (বুধবার) পাইকারিতে দেশি রসুন মানভেদে কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় এবং আমদানিকৃত রসুন ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায় বিক্রি হয়।’

রাজধানীর বাড্ডা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, ‘পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহে দেশি রসুনের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যার কারণে এখন দেশি রসুন ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। চায়না রসুন কেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

’ 

রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের মালিক মো. নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পাইকারি বাজারে এখন প্রতিদিনই দেশি ও আমদানিকৃত রসুনের দাম বাড়ছে। যার প্রভাবে খুচরা বাজারেও দাম বাড়ছে।’

ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর দেশের পেঁয়াজের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়ে ছিল। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার কারণে সেই অস্থিরতা অনেকটাই কমেছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং পুরানো দেশি পেঁয়াজ কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। নতুন আলু কেজি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা এবং পুরানো আলু কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ডিমের দামও বাড়তি। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com