সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বেশ ক’দিন ধরেই আলোচনায় গানবাংলা টিভির কৌশিক হোসেন তাপস ও তার স্ত্রী ফারজানা মুন্নী, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আর শবনম বুবলী। বিষয়টি গড়িয়েছে আইনি পর্যায়ে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে যান কৌশিক হোসেন তাপস ও অপু বিশ্বাস। তাদের দু’জনকে নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসেন ডিএমপির (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। সেখানে থেকে বেরিয়ে সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হন তাপস-অপু।
এ সময় তাপস বলেন, ‘আমার আর অপু বিশ্বাসের মধ্যে কিছুই হয়নি। অপুর যার সঙ্গে সমস্যা, তার বিষয়ে অপু কথা বলেছে আমার স্ত্রীর সঙ্গে। সেই আলাপনের অংশ বিশেষ কেটে একটি টেলিভিশন চ্যানেল ছেড়ে দিয়েছে। এমনটা হলে তো আর ব্যক্তিগত কোনো আলাপ করা যাবে না। এ ধরণের ঘটনা যেন না হয় এ বিষয়েই আমরা কথা বলেছি। আমি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে যেতে চাই না। আমি কোনো আইনি নোটিশও পাঠাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন সংস্কৃতিকর্মী আর সংস্কৃতিকর্মী হিসেবেই মৃত্যুবরণ করতে চাই। আমার শেষ নিঃশ্বাস যেন আর্টিস্ট হিসেবে হয়, আমি মারা গেলে কেউ যেন ব্যবসায়ী না বলে। একজন শিল্পীর জায়গা থেকে আমি ওই কালিমাটা নিতে চাই না। আমার বিনোদন জগত; সেটা সংগীত হোক, ফিল্ম হোক বা মিডিয়া হোক, কোনো শিল্পীর সঙ্গে আইনি পদক্ষেপে যেতে চাই না, যদি সেটা ঘরে বসে করা যায়।’
জানা গেছে, গেল রবিবার অপুর ভিডিওবার্তা প্রকাশের পরই ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ জানান তাপস। অভিযোগে বলেছেন, ভিডিও বার্তা ও কল রেকর্ড ফাঁসের মাধ্যমে অপু তার ব্যক্তিগত জীবন ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। সেই অভিযোগের সূত্রেই অপুকে তলব করেছেন ডিবি হারুন অর রশীদ।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসেন তাপস ও তার স্ত্রী মুন্নী, চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ওদিন ফেসবুকে মুন্নী লেখেন, ‘তাপস এবং বুবলী প্রেম করছে। বুবলী আমার পরিবার ধ্বংস করছে, ঠিক যেভাবে সে অপু বিশ্বাসের জীবন ধ্বংস করেছে। শাকিব খানকে ব্ল্যাকমেইল করে প্রেগন্যান্ট হয়েছে। এখন তার (বুবলী) টার্গেট তাপস। আমার যদি কিছু হয় তার জন্য তাপস এবং বুবলী দুজনেই দায়ী থাকবে।’
এ নিয়ে পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমে মুন্নী দাবি করেন, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছিল। পোস্টটি হ্যাকাররা করেছিলেন।
এর কয়েকদিন পরই নেটদুনিয়ায় মুন্নী ও অপুর একটি কথোপকথনের রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে। আর এই পুরো ঘটনাকে নিজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন শবনম বুবলী।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মুন্নী সেই ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডটি নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ আনেন অপুর বিরুদ্ধে। এরপর ঘটনায় নতুন মোড় নেয় গত ১৭ ডিসেম্বর। এদিন দীর্ঘ এক ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন অপু বিশ্বাস। সেখানে তিনি অভিযোগের আঙুল মুন্নীর দিকেই তোলেন। আর বুবলীর প্রতি তার বিষোদগার তো ছিলই।