নৌকার প্রচারণা চালানোয় তিন কর্মীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারি মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ ১০ জনকে আটক করেছে বরিশালের কাউনিয়া থানা পুলিশ। যদিও মান্না এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। টানা ৫ দিন ধরে সিসি ক্যামেরার আওতায় আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৪ মে) দিনগত রাত দেড়টার দিকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানার এসআই সাইদুল হক বলেন, বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন একটি বাসার সামনে থেকে রইজ আহমেদ মান্নাসহ ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ রয়েছে থানায়। বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
এর আগে রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মান্না ও তার সহযোগীদের মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকনের অনুসারি তিনজন শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন। আহতরা হলেন সিটি করপোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হালিম শাহ, মনু ও জাহিদ ভূঁইয়া।
হালিম শাহ অভিযোগ করেন, রোববার আমাদের এক বন্ধুর লাশ কীর্তনখোলা নদীতে পাওয়া যায়। সন্ধ্যায় তাকে দাহ করতে মহাশ্মশানে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নৌকার প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে ফেরার পথে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না তার বাহিনী নিয়ে এসে আমাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
মনু বলেন, আমাদের অপরাধ হচ্ছে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর পক্ষে মাঠে নির্বাচনে নামা। মান্না চাইছে না আমরা নৌকার হয়ে কাজ করি। এজন্য পিস্তল ঠেকিয়ে আমাদের মারধর করেছে। আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে।
জাহিদ ভূঁইয়া বলেন, মান্নার সাথে আমাদের কোনো বিরোধ বা একদিন কথার কাটাকাটিও হয়নি। অন্যায়ের মধ্যে দেখছি প্রকাশ্যে আমরা নৌকার জন্য কাজ করি। এ কারণে কুপিয়েছে আমাদের। আমরা যেন নৌকার পক্ষে কাজ না করি সেজন্য আমার কোমরে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়েছে।
ওদিকে কর্মীদের মারধর ও হুমকির খবর পেয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।
যদিও আটকের আগে রইজ আহমেদ মান্না দাবি করেন, বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ যেন বরিশালে না আসতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি বিগত কয়েকদিন ধরে সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছি। যারা অভিযোগ তুলছেন তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন।
এর আগে ৭ মে রইজ আহম্মেদ মান্নার বিরুদ্ধে তিনজনকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর ও হুমকির অভিযোগে কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সোহাগ। তিনিও আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর নির্বাচনি কর্মী।